২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যে রাজ্যে বনধের ডাক দিল কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এআইকেএসসিসি


  • September 21, 2020
  • (0 Comments)
  • 912 Views

রাজ্যে রাজ্যে কৃষকদের ধারাবাহিক প্রতিবাদে কান না-দিয়ে কৃষক বিল সংসদে পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংখ্যাধিক্যের জোরে লোকসভায় পাশ করতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু, রাজ্যসভায় পাশ করা হলো ধ্বনি ভোটে। সাংবাদিকদের রাজ্যসভায় প্রবেশের অনুমতি না-দিয়ে, রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে এই গা-জোয়ারির অন্যায় পথ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকাশ্যে ভোটাভুটি হলে এবং সরকারকে সমর্থন জানালে এনডিএ ভুক্ত বিভিন্ন দলকে রাজ্যে রাজ্যে কৃষকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। এবং তারা প্রকাশ্যে ভোট না-দিতেও পারত। তাই এই অন্যায় কৌশল বলেই মনে করছেন বিরোধী দলের সদস্যরা। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় রাজ্যসভার আট সাংসদ সাময়িক ভাবে বহিস্কৃত হয়েছেন। কিন্তু, প্রতিবাদের পথ ছাড়তে রাজি নয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও কৃষক সংগঠনগুলি।

এই মর্মে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এআইকেএসসিসি ১৯ সেপ্টেম্বরের প্রেস বিবৃতির ইংরেজি বয়ান আমরা আগেই প্রকাশ করেছিলাম। ২১ সেপ্টেম্বর কৃষকরা রাজ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর কৃষক সংগঠনগুলি রাজ্যে রাজ্যে বন্ধের ডাক দিয়েছে। আমরা সেই বিবৃতিটি বাংলায় প্রকাশ করলাম। সম্পাদকমণ্ডলী গ্রাউন্ডজিরো

 

শিল্পী: মীর সুহেল।

 

* প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষজনক ও বিভেদ সৃষ্টিকারী কার্যকলাপের বিরূদ্ধে এআইকেএসসিসি তীব্র প্রতিবাদে মুখর।

* ‘কর্পোরেট ভাগাও কিসানি বচাও’ – প্রতিবাদ আরও জোরালো করে তুলুন। তিনটি প্রস্তাবিত আইনের (বিল) প্রতিটিকেই প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে।

*ভারতব্যাপী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ রাজ্যে রাজ্যে বনধ।

 

রাজনৈতিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি

কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে কৃষকদের আয় নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ভেঙেছে এবং বহুজাতিক ও যৌথ সংস্থাগুলিকে কৃষকদের পরিশ্রম অবাধে লুঠ করবার জন্য খোলাখুলি আহ্বান জানিয়েছে, এবং সেখান থেকে দেশবাসীর মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করার জন্য আইকেএসসিসি-র কার্যনির্বাহী কমিটি দল প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছে। কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের স্বার্থে ঘা দেওয়া ও নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার পক্ষে কোনোরকম সদুত্তর দেওয়া তো দূরের কথা, তিনি কৃষক অসন্তোষকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে জুড়ে দেওয়ার পুরনো কৌশল কাজে লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। বিতর্কটি বিরোধী বনাম সরকারকে কেন্দ্র করে নয়, বরং কৃষক বনাম সরকারি নীতিকে কেন্দ্র করে। শাসকশ্রেণির উদাসীনতার ফলে কৃষকদের ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে, জীবিকা থেকে তাঁরা উচ্ছিন্ন ও স্থানচ্যুত হন এবং শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। সরকার যেভাবে কৃষকদের আয় নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ভেঙেছে এবং বহুজাতিক ও যৌথ সংস্থাগুলিকে কৃষকদের পরিশ্রম অবাধে লুঠ করবার জন্য খোলাখুলি আহ্বান জানিয়েছে, এবং সেখান থেকে দেশবাসীর মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করার জন্য আইকেএসসিসি-র কার্যনির্বাহী কমিটি দল প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছে। কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের স্বার্থে ঘা দেওয়া ও নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার পক্ষে কোনোরকম সদুত্তর দেওয়া তো দূরের কথা, তিনি কৃষক অসন্তোষকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে জুড়ে দেওয়ার পুরনো কৌশল কাজে লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন। বিতর্কটি বিরোধী বনাম সরকারকে কেন্দ্র করে নয়, বরং কৃষক বনাম সরকারি নীতিকে কেন্দ্র করে। শাসকশ্রেণির উদাসীনতার ফলে কৃষকদের ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে, জীবিকা থেকে তাঁরা উচ্ছিন্ন ও স্থানচ্যুত হন এবং শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।

 

২০১৭ সালে মান্দাসরের কৃষকদের শান্তিপূর্ণ প্রচারের উপর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার নির্দয় ভাবে গুলি চালিয়ে প্রতিবাদী কৃষকদের হত্যা করেছিল; তখন থেকেই এআইকেএসসিসি “কর্জা মুক্তি পুরা দাম”-এর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এমএসপি (ন্যূনতম সমর্থন মূল্য) রদ্, সরকারি সংগ্রহ, পিডিএস (গণবন্টণ ব্যবস্থা)

প্রধানমন্ত্রী যখন দাবি করেন, প্রস্তাবিত তিনটি আইন  ‘উপযুক্ত ন্যূনতম সমর্থন মূল্য, এবং কৃষকদের আয়ের পথে বাধা হবে না’। ‘যেমন আগে ছিল তেমনই থাকবে।’ তখন তিনি আসলে জনগণের চোখে ধুলো দেন। সরকার নিয়োজিত শান্তা কুমার কমিশন এ কথা স্বীকার করেছে, ‘আগে’ ন্যূনতম সমর্থনমূল্য কেবলমাত্র ২৩টি খাদ্যশস্যের জন্য নির্ধারিত ছিল, এটা কখনোই ‘উচিত’ ছিল না, এবং শুধুমাত্র ৬ শতাংশ কৃষক ফসল সংগ্রহের সুবিধা লাভ করত। এফসিআই ও নাফেড-এর লাভ সংগ্রহ এবং গণবণ্টন ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে খাদ্যশস্য সঞ্চয় ও সরবরাহের পথ বন্ধ করাই এর উদ্দেশ্য ছিল। সি২+৫০% পদ্ধতিতে এমএসপি এবং সবরকম খাদ্যশস্য সংগ্রহের সুবিধা লাভ করাই এআইকেএসসিসি-র লড়াইয়ের উদ্দেশ্য।

 

সুরক্ষা কবচ’

সবরকমের খাদ্যশস্যের উপর এমএসপি জারি ও তার মজুত নিশ্চিত করতে এবং শস্যমান্ডির বাইরে বহুজাতিক/যৌথ সংস্থাগুলির জন্য চুক্তিচাষের যেকোনওরকম পথ বন্ধ রাখতে আইন প্রণয়ন করা প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যকর্তব্য। নিজের দায়িত্বহীনতাকে ধামাচাপা দিতেই প্রধানমন্ত্রী এইসব বহুজাতিক ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষিবিপণন সংস্থাগুলিকে কৃষকদের জন্য সঠিক বিকল্প এবং ‘সুরক্ষা কবচ’ বলে উল্লেখ করছেন। সরকারি তরফে ফসল সংগ্রহ বন্ধ হলে কৃষকদের আর্থিক লাভবান হওয়ার সব পথ বন্ধ হবে। খাদ্যশস্যের উপর এমএসপি জারি ও তার মজুত নিশ্চিত করতে এবং শস্যমান্ডির বাইরে বহুজাতিক/যৌথ সংস্থাগুলির জন্য চুক্তিচাষের যেকোনওরকম পথ বন্ধ রাখতে আইন প্রণয়ন করা প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যকর্তব্য। নিজের দায়িত্বহীনতাকে ধামাচাপা দিতেই প্রধানমন্ত্রী এইসব বহুজাতিক ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষিবিপণন সংস্থাগুলিকে কৃষকদের জন্য সঠিক বিকল্প এবং ‘সুরক্ষা কবচ’ বলে উল্লেখ করছেন। সরকারি তরফে ফসল সংগ্রহ বন্ধ হলে কৃষকদের আর্থিক লাভবান হওয়ার সব পথ বন্ধ হবে।

 

রেশন বনাম মুক্ত বাজারে কেনাবেচা

কর্পোরেট সংস্থা, এফআইসিসিআই এবং সিআইআই বহুদিন ধরে সরকারি তরফে খাদ্যশস্য সংগ্রহ বন্ধ করার এবং শস্যবাজারকে মুক্ত বাজারে পরিণত করার দাবি জানিয়ে আসছে| আসলে ন্যায্যমূল্যের দোকান বন্ধ করার জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা চাপ সৃষ্টি করছে। প্রস্তাবিত আইনগুলি খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, ডাল, সবজি ইত্যাদিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। সরকার এবার থেকে আর এই সব পণ্যের ব্যবসা ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করবে না। জনগণের জন্য খাদ্য আর অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় থাকবে না, তার জায়গায় কর্পোরেট সংস্থাগুলিই খাদ্যশৃঙ্খল, তার পরিকাঠামো ও কৃষিবাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। পঁচাত্তর কোটিরও বেশি গণবণ্টন ব্যবস্থার স্বত্বভোগী সাধারণ মানুষ খাদ্য কিনতে বাধ্য থাকবে সেইসব কর্পোরেট সংস্থার থেকে, যারা শুধুই তাদের বিপণন বাড়াতে উৎসাহী। সংস্থা, এফআইসিসিআই এবং সিআইআই বহুদিন ধরে সরকারি তরফে খাদ্যশস্য সংগ্রহ বন্ধ করার এবং শস্যবাজারকে মুক্ত বাজারে পরিণত করার দাবি জানিয়ে আসছে। আসলে ন্যায্যমূল্যের দোকান বন্ধ করার জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা চাপ সৃষ্টি করছে। প্রস্তাবিত আইনগুলি খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, ডাল, সবজি ইত্যাদিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। সরকার এবার থেকে আর এই সব পণ্যের ব্যবসা ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করবে না। জনগণের জন্য খাদ্য আর অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় থাকবে না, তার জায়গায় কর্পোরেট সংস্থাগুলিই খাদ্যশৃঙ্খল, তার পরিকাঠামো ও কৃষিবাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। পঁচাত্তর কোটিরও বেশি গণবণ্টন ব্যবস্থার স্বত্বভোগী সাধারণ মানুষ খাদ্য কিনতে বাধ্য থাকবে সেইসব কর্পোরেট সংস্থার থেকে, যারা শুধুই তাদের বিপণন বাড়াতে উৎসাহী।

 

‘বিক্রয়  স্বাধীনতা’:

সমস্ত পৃথিবী জুড়ে কৃষকরা দেশের সরকারের সাহায্যে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে। ফসল কাটার পর সেই ফসল বিক্রি না-হলে তা নষ্ট হয় ও তার মূল্য হারায়। কাছেপিঠের মান্ডিগুলিতে এই ফসল বিক্রি হয় এবং এই ফসল আনা-নেওয়া করতেও খরচ হয় প্রচুর। সর্বোৎকৃষ্ট মূল্যে যেকোনো জায়গায় ফসল বিক্রির ‘স্বাধীনতা’ আসলে একটা ধোঁকা। অসৎ কর্পোরেট মুনাফাকারীদের একচেটিয়া ব্যবসা এবং কৃষকপীড়ন নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি ভাবে খাদ্য সংগ্রহ ও মূল্য নির্ধারণই একমাত্র উপায়। পৃথিবী জুড়ে কৃষকরা দেশের সরকারের সাহায্যে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে। ফসল কাটার পর সেই ফসল বিক্রি না-হলে তা নষ্ট হয় ও তার মূল্য হারায়। কাছেপিঠের মান্ডিগুলিতে এই ফসল বিক্রি হয় এবং এই ফসল আনা-নেওয়া করতেও খরচ হয় প্রচুর। সর্বোৎকৃষ্ট মূল্যে যেকোনো জায়গায় ফসল বিক্রির ‘স্বাধীনতা’ আসলে একটা ধোঁকা। অসৎ কর্পোরেট মুনাফাকারীদের একচেটিয়া ব্যবসা এবং কৃষকপীড়ন নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি ভাবে খাদ্য সংগ্রহ ও মূল্য নির্ধারণই একমাত্র উপায়।

 

কর্পোরেট চুক্তির সাথে ‘অন্নদাতাদের’ সংযুক্তিকরণ

প্রস্তাবিত আইনগুলি সমর্থন করে চুক্তিভিত্তিক চাষ, যার মাধ্যমে কর্পোরেট সংস্থাগুলি ছোট ছোট কৃষকদের জমি চুক্তির আওতায় আনবে, তাদের ব্যয়বহুল কৃষি সামগ্রী কিনতে বাধ্য করবে এবং শেষ পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত মূল্যে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতেও বাধ্য করবে। আইনগুলি সমর্থন করে চুক্তিভিত্তিক চাষ, যার মাধ্যমে কর্পোরেট সংস্থাগুলি ছোট ছোট কৃষকদের জমি চুক্তির আওতায় আনবে, তাদের ব্যায়বহুল কৃষি সামগ্রী কিনতে বাধ্য করবে এবং শেষ পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত মূল্যে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতেও বাধ্য করবে| চুক্তিতে বাঁধা পড়ার ফলে কৃষকরা মুক্ত বাজারে লাভজনক বিক্রয়মূল্য পান না – এর থেকেই বোঝা যায়, চুক্তিগুলি আসলে সরকারের ছলনা মাত্র। মূল্যহ্রাস ও ফসলের ক্ষতির কারণে উৎপাদনকারী কৃষকের ঘাড়ে চাপে ঋণ ও লোকসানের বোঝা, কিন্তু কোম্পানিগুলি মুনাফা করতে থাকে।

 

সস্তা আমদানি

আশঙ্কা এই যে, ফসল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর কোম্পানিগুলির নিয়ন্ত্রণ জারি হবার ফলে এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণহীন আমদানি/রপ্তানির সুবিধার ফলে কোম্পানিগুলি বাজারে অতিরিক্ত সস্তায় গম, চাল, তৈলবীজ, ডাল, সয়া, দুধ ও দুধজাত সামগ্রী ইত্যাদি আমদানি করতে থাকবে। এইভাবেই ভারতীয় কৃষকরা ‘আত্মনির্ভরতা’-র পথ থেকে আরো দূরে সরে যাবেন এবং শেষে তাঁদের জীবিকা থেকেই তাঁদের উচ্ছেদ নিশ্চিত হবে।


আত্মনির্ভরতা’’

বিদেশী শোষণকারীদের হাতে নিজেদের খাদ্যনিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে কোনও দেশই উন্নতি করতে পারেনি। মোদী সরকার ঠিক সেই কাজটিই করছে।

 

এআইকেএসসিসি কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং “কর্জা মুক্তি পুরা দাম”-এর যুগ্ম লক্ষ্যে পৌঁছতে শেষ অবধি লড়ে যেতে বদ্ধপরিকর। পূর্বোল্লেখিত নানা পথে প্রতিবাদের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

এআইকেএসসিসি তাদের এই আন্দোলনে সারা ভারত থেকে সর্বস্তরের কৃষক, কৃষিশ্রমিক, জনজাতি, জেলে, প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠন, বিভিন্ন দল ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে যোগদানের জন্য ডাক দিয়েছে।কৃষকশ্রেণিএবং অন্যান্য বিপন্ন শ্রেণির মানুষদের সুবিধার্থে যে ভর্তুকি, তা রদ্ করতে ২০২০ সালে আনা নিউ পাওয়ার বিল(খসড়া)-এর সাথে সাথে পেট্রল ও ডিজেল এর অবিশ্বাস্য রকমের মূল্যবৃদ্ধিরও প্রতিবাদ করছে এই আন্দোলন।

 

ড: আশিস মিত্তল (সাধারণ সম্পাদক, এআইকেএমএস, ডাবলুজি সদস্য, এআইকেএসসিসি)

 

  • ভাষান্তর :পারমিতা চক্রবর্তী

 

Share this
Tags :
Leave a Comment