ক্রোধের শত জলঝর্না : অতিমারীর পরের দুনিয়া


  • July 5, 2020
  • (0 Comments)
  • 2285 Views

এত দারিদ্র, ক্ষুধা, আশার মৃত্যু ভাইরাসের কারণে নয়, এসব ঘটছে পুঁজিবাদকে মুনাফাযোগ্য চেহারায় ফিরিয়ে আনার জন্য। মুনাফাভিত্তিক এই ব্যবস্থাটাকেই যদি পরিত্যাগ করি তবে কেমন হয়? মুনাফা নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে যদি নতুন উদ্যম নিয়ে শুধু প্রয়োজনীয় কাজগুলো করি: রাস্তা পরিষ্কার করি, হাসপাতাল গড়ে তুলি, বাইসাইকেল বানাই, বই লিখি, শাকসবজি ফলাই, কিংবা গান-বাজনা করি? লেখক : জন হলোওয়ে

 

সব দরজা খুলে গেল। অসংখ্য অগণিত মুখ সামনে আসার আগেই বেশ বোঝা যায় অবরুদ্ধ শক্তির প্রাণচাঞ্চল্য। লকডাউন শেষ হয়েছে। বাঁধ ভেঙে গেছে। বেরিয়ে আসছে রাগ, উৎকন্ঠা ও হতাশার খরস্রোত; স্বপ্ন, আশা ও আতঙ্কের খরস্রোত। যেন আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।

 

আমরা সবাই ছিলাম গৃহবন্দি। কার্যত বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন, কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। বিশেষজ্ঞরা বহু বছর ধরেই অতিমারীর সতর্কবার্তা শুনিয়ে আসছিলেন, তবে তা কতটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে সেটা হয়তো তাঁদের জানা ছিল না। 

 

তারপর এখন আমাদের জীবন আমূল পালটে দিয়েছে এক উদ্ভট ভাইরাস। কোথা থেকে এল সে? শোনা গেছে তাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল চিনের উহানে, কিন্তু তারপর থেকে আমরা যত পড়ছি ততই বুঝতে পারছি যে তার উৎসস্থল যে কোনও জায়গাই হতে পারত : সে উঠে এসেছে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে – কৃষিক্ষেত্রের শিল্পায়ন, গোটা দুনিয়া জুড়ে কৃষকসমাজের অবক্ষয়, শহরগুলোর বাড়বৃদ্ধি, বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক বাসস্থানের ধ্বংসযজ্ঞ ও মুনাফার জন্য সেই প্রাণীদের বাজারে কেনাবেচা – এই সমস্ত কিছুর মধ্যে থেকে।

 

আমরা যদি প্রাণের অন্যান্য রূপের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমূল বদলে না ফেলি তাহলে এরকম আরও বহু অতিমারী আঘাত হানতেই থাকবে। এটা একটা সতর্কবার্তা: পুঁজিবাদের পথ ছাড়ো, নয়তো ধ্বংসের পথ ধরে হাঁটো। পুঁজিবাদের পথ ছাড়া? আকাশকুসুম কল্পনা বটে। এখান থেকেই একটা আতঙ্ক তৈরি হয় আমাদের মধ্যে, একটা ক্রোধও, হয়তো এক ধরনের আশাও, যে কোনও না কোনও একটা উপায় হয়তো থাকতেও পারে। 

 

লকডাউন চলতে থাকে, আমাদের মনোযোগ ঘুরে যায় অন্যদিকে, অসুস্থতা থেকে দূরে। আমাদের শোনানো হয় অর্থনৈতিক প্রভাবের কথা। জানানো হয় যে ১৯৩০-এর দশকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সবচাইতে খারাপ এক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আমরা ঢুকতে চলেছি। ব্রিটেনের ক্ষেত্রে তো এই অর্থনৈতিক সংকট গত তিনশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। বিশ্বব্যাঙ্ক জানাচ্ছে যে দশ কোটিরও বেশি মানুষ চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে পড়বেন। লাতিন আমেরিকায় আরও একটা অর্থনৈতিক মন্দার দশক। গোটা বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের বেকারত্ব। অনাহারক্লিষ্ট মানুষ, ভিক্ষার হাত পাতা মানুষ, আরও অপরাধ, আরও হিংসা, আশার মৃত্যু, স্বপ্নের সমাধি। আর এই সংকট থেকে দ্রুত উদ্ধার পাওয়াও যাবে না, অর্থনীতির স্বাস্থ্যোদ্ধারের যে কোনও প্রক্রিয়াই হবে দুর্বল ও ক্ষণস্থায়ী। 

 

আমাদের তখন মনে হয়: মাস দুয়েক আমাদের ঘরবন্দি থাকতে হল বলে এতকিছু হচ্ছে? আমরা জানি যে তা হতে পারে না। লোকে দু মাসের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিলে আমাদের আর্থিক অবস্থা আরও একটু খারাপ হবে ঠিকই, কিন্তু কোটি কোটি মানুষের বেকারত্ব, অনাহারে মানুষের মৃত্যু? নিশ্চয়ই এমন হতে পারে না। মাস দুয়েকের বিরতির ফল তো এটা হতে পারে না। বরং উলটোটা। বিরতি শেষ হওয়ার পর তো আরও তরতাজা হয়ে, দ্বিগুণ উদ্যমে আমরা কাজে ফিরে যাব। 

 

আমরা আরও একটু ভাবি। বুঝতে পারি যে এই অর্থনৈতিক সংকট অবশ্যই ভাইরাসের ফল নয়, তবে ভাইরাস তার সূত্রপাত ঘটিয়ে থাকতেই পারে। অতিমারীর মতোই, অর্থনৈতিক সংকটেরও পূর্বাভাস ছিল, আরও স্পষ্টভাবেই ছিল। গত তিরিশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাদী অর্থনীতি আক্ষরিক অর্থেই ধারের টাকায় বেঁচে আছে: তার বাড়ের ও বিস্তারের ভিত্তি স্রেফ ঋণ। কাজেই তার অবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা তাসের ঘরের মতো। ২০০৮ সালে তা প্রায় ভেঙে পড়েওছিল, এবং সে পতনের ফলাফল হয়েছিল ভয়াবহ। কিন্তু বিপুল অঙ্কের নতুন ঋণের ঠেকনো দিয়ে তাকে আবার দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক ভাষ্যকারদের জানা ছিল যে এ ব্যবস্থা বেশিদিন টিকতে পারে না। “গড গেভ নোয়া দ্য রেনবো সাইন, নো মোর ওয়াটার, দ্য ফায়ার নেক্সট টাইম”: ২০০৮-এর অর্থনৈতিক সংকটে প্লাবন দেখা গিয়েছে, কিন্তু পরের বার ঘটবে অগ্নিকাণ্ড, আর তার খুব বেশি দেরিও নেই।  

 

পুঁজিবাদের মুখোশ খুলে গেছে

 

আমরা এখন ঠিক সেটার মধ্যেই বাঁচছি: পুঁজিবাদী সংকটের অগ্নিকাণ্ড। এত দারিদ্র, ক্ষুধা, আশার মৃত্যু ভাইরাসের কারণে নয়, এসব ঘটছে পুঁজিবাদকে মুনাফাযোগ্য চেহারায় ফিরিয়ে আনার জন্য। মুনাফাভিত্তিক এই ব্যবস্থাটাকেই যদি পরিত্যাগ করি তবে কেমন হয়? মুনাফা নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে যদি নতুন উদ্যম নিয়ে শুধু প্রয়োজনীয় কাজগুলো করি: রাস্তা পরিষ্কার করি, হাসপাতাল গড়ে তুলি, বাইসাইকেল বানাই, বই লিখি, শাকসবজি ফলাই, কিংবা গান-বাজনা করি? তাহলেই আর বেকারি নয়, অনাহার নয়, স্বপ্নের সমাধি নয়।

 

আর পুঁজিবাদীরা? হয় তাদের হাতের কাছের ল্যাম্পপোস্ট থেকে ঝুলিয়ে দিন (কাজটা করতে সব সময়েই হাত নিশপিশ করে) নয়তো তাদের কথা স্রেফ ভুলে যান। বরং তাদের কথা একেবারে ভুলে যাওয়াটাই ভালো। মনে হতে পারে আরও একটা খোশখেয়াল কিম্বা উটোপিয়া। কিন্তু শুধু তা-ই নয়, তার চেয়ে বেশি কিছুও বটে: এই মুহূর্তের আশু প্রয়োজন।

 

এছাড়াও লকডাউনের সময় আমাদের রাগ উসকে দেওয়ার মতো আরও অনেক অনেক কিছু ঘটেছে। করোনা ভাইরাস অতিমারী পুঁজিবাদের মুখোশ পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। পুঁজিবাদের চেহারা আজ যেভাবে প্রকট হয়ে উঠেছে, অতীতে কখনও ঘটেনি বললেই চলে। আর এটা ঘটেছে নানা দিক থেকে। প্রথমেই চলে আসে, মানুষে মানুষে, শ্রেণীতে শ্রেণীতে, গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে, লকডাউন অবস্থায় বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতার বিপুল পার্থক্য। অর্থাৎ, ঘোরাফেরা করবার মতো আপনার কাছে কতটা জায়গা আছে? বাড়িতে বাগান আছে কিনা? কিছুদিন থাকার মতো দ্বিতীয় কোনও বাসস্থান আছে কিনা? ইত্যাদি।  

 

সে সঙ্গেই, গরিব ও বড়লোকদের উপর এই ভাইরাসের অভিঘাতের বিপুল মাত্রাগত তারতম্য। রোগটা যত ছড়িয়েছে তত এই বিষয়টা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গেই যুক্ত সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের নিরিখে কালো ও সাদা চামড়ার মধ্যে বিপুল পার্থক্য। তিরিশ বছরের অবহেলা ও অযত্নের পর চিকিৎসা পরিষেবায় ভয়াবহ অভাবের ছবি, সেই পরিষেবা জোগানোর ক্ষেত্রে এতগুলো রাষ্ট্রের অপদার্থতা। প্রায় সর্বত্র নজরদারি, পুলিশ মিলিটারির ক্ষমতার বাড়বাড়ন্ত। লকডাউনের মধ্যে লেখাপড়া চালু রাখার প্রশ্নে যাদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে আর যাদের তা নেই তাদের মধ্যে বৈষম্য। আর যে বিশ্বে আজকের শিশুরা বেড়ে উঠছে সেখানে ঘটে চলা যাবতীয় পরিবর্তন থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখার কথা না হয় বাদই দিলাম। বহু মহিলার ভয়াবহ হিংসার শিকার হওয়া। 

 

এই সমস্ত কিছু এবং আরও অনেক কিছু যখন ঘটছে ঠিক সেই সময়েই আমাজন, জুম এবং অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থা ও বহুজাতিকের মালিকরা অবিশ্বাস্য অঙ্কের মুনাফা ঘরে তুলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নানান কেরামতির উপর ভর করে, শেয়ার বাজার গরিবের হাত থেকে বড়লোকের হাতে সম্পদ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া খোলাখুলি চালিয়ে গেছে। এসব দেখে আমাদের রাগ বাড়ে, বাড়ে আতঙ্ক ও হতাশাও, আর তার সঙ্গে বেড়ে ওঠে একটা সংকল্প – যে এমনটা চলতে দেওয়া যায় না, এই দুঃস্বপ্নকে কিছুতেই সত্যি হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না

 

আমাদের মধ্যে প্রজ্জ্বলিত ক্রোধের আগুন 

 

তারপরেই খুলে গেল সব দরজাগুলো। ভেঙে গেল বাঁধ। আমাদের যাবতীয় রাগ ও আশার বিস্ফোরণ ঘটল রাজপথে। শুনতে পেলাম জর্জ ফ্লয়েডের কথা, শুনলাম তার শেষ কথা কটা, “আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।” কথাগুলো ঘুরপাক খেতে লাগল মাথায়। আমাদের ঘাড়ে অবশ্য চেপে বসেনি কোনও খুনে পুলিশের হাঁটু, কিন্তু তবু আমরাও নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি না কারণ পুঁজিবাদের হাতে আমরা খুন হয়ে যাচ্ছি। মনে মনে আমরা হিংসা অনুভব করি, ভেতরের হিংসা বাইরে ফেটে পড়তে চায়। কিন্তু এ পথ আমাদের নয়, এটা ওদের পথ। 

 

অথচ আমাদের ক্রোধ ও আশাকে, আশা ও দুর্বার ক্ষোভকে যে নিঃশ্বাস নিতেই হবে। তারা নিঃশ্বাস নেয়ও। নিঃশ্বাস নেয় গোটা দুনিয়া জুড়ে পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভে, ব্রিস্টলে দাস-ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কোলস্টনের মূর্তি নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কর্মসূচিতে, সিয়াট্‌লে ক্যাপিটল হিল স্বশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার মধ্যে, মিনিয়াপোলিসে পুলিশ প্রিসিংক্ট জ্বালিয়ে দেওয়ার মধ্যে, আকাশের দিকে তোলা অজস্র মুষ্টিবদ্ধ হাতের মধ্যে।

 

ক্ষোভ-আশা-আতঙ্ক-ক্ষুধা-স্বপ্ন-হতাশার এই স্রোত জলঝরনা হয়ে এগিয়ে চলে এক ক্রোধ থেকে আরেক ক্রোধে, প্রতিটি ক্রোধের মুহূর্তকে যাপন করে, প্রতিটি ক্রোধকে সম্মান জানায় এবং তারপর বয়ে যায় পরবর্তী ক্রোধের দিকে। আমাদের মধ্যে জ্বলতে থাকা ক্রোধের লক্ষ্যবস্তু শুধু পুলিশি বর্বরতা নয়, শুধু বর্ণবিদ্বেষ নয়, শুধু পুঁজিবাদের বনেদ গড়ে তোলা দাসব্যবসা নয়, মহিলাদের উপর হিংসা এবং সমস্ত ধরনের নারীবিদ্বেষও বটে। তাই তো ৮ মার্চের বিশাল বিশাল পদযাত্রায় আরও একবার প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে, শোনা যায় গান। 

 

চিলির বাসিন্দারাও আরও একবার রাস্তায় নেমে আসেন, জারি রাখেন তাঁদের বিপ্লব। কুর্দিস্তানের মানুষেরা পিছু হটতে বাধ্য করেন সেই রাষ্ট্রকে যে রাষ্ট্রহীন সমাজের ধারণা বরদাস্ত করতে পারে না। আর হংকং-এর মানুষেরা কমিউনিজমের নামে চলা ঠাট্টাকে প্রত্যাখ্যান করতে অনুপ্রাণিত করেন চিনাদের: “আর কমিউনিজম নয়,” তাঁরা চিৎকার করে ওঠেন, “এসো গড়ে তুলি কমিউন!” 

 

জাপাতিস্তার বিদ্রোহীরা গড়ে তোলেন এক দুনিয়ার মধ্যে অনেক দুনিয়া। কৃষকরা শহুরে বস্তি ছেড়ে জমিতে ফিরে যান এবং প্রাণের অন্যান্য রূপের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে শোধরাতে শুরু করেন। বাদুড় ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা ফিরে যায় তাদের স্বাভাবিক বাসস্থানে। পুঁজিবাদীরাও হামাগুড়ি দিয়ে ফিরে চলে তাদের নিজস্ব স্বাভাবিক বাসস্থানে, সিঁড়ির তলায়।

 

আর হ্যাঁ, শ্রম, পুঁজিবাদী শ্রম, সম্পদ আর দারিদ্রের সৃষ্টিকর্তা আর আমাদের জীবনকে তছনছ করে দেওয়া সেই ভয়ঙ্কর যন্ত্র, তারও শেষের দিন আসে। আমরা তখন তা-ই করতে শুরু করি যা আমরা করতে চাই। পারস্পরিক আত্মমর্যাদার স্বীকৃতির ভিত্তিতে নতুন এক দুনিয়া গড়ে তোলার কাজটা শুরু করি।

 

তখন আর থাকবে না কোনও অর্থনৈতিক মন্দার দশক, কোনও বেকারত্ব, কোটি কোটি মানুষের চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে ডুবে যাওয়া, কেউ আর অনাহারে থাকবে না। আর তখন, হ্যাঁ তখন, আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারব।

 

  • (মেক্সিকোর জাপাতিস্তাদের বিশেষ কাছের মানুষ, জন হলোওয়ে বেনেমেরিতা ইউনিভার্সিদাদ অতোনমা দে পুয়েবলা-র অন্তর্গত ইনস্টিতুতো দে সিয়েনসিয়া সোশিয়ালেস ই হিউম্যানিদাদেস-এ সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বই চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড উইদাউট টেকিং পাওয়ার (প্লুটো প্রেস, লন্ডন, ২০০২, ২০১৯) ও ক্র্যাক ক্যাপিটালিজম (প্লুটো প্রেস, লন্ডন, ২০১০)। বর্তমান লেখাটির মূল ইংরেজি বয়ান পাওয়া যাবে ‘রোর’ পত্রিকার ওয়েবসাইটে:  )

 

  • Bengali translation : Prasit Das

 

 

Cover Image : Protesters kneel and hold up their hands in Lafayette Square, near the White House to protest the death of George Floyd. (Olivier Douliery/AFP via Getty Images)

 

Share this
Leave a Comment