বাকস্বাধীনতা মাথায় থাক, জীবনেরও অধিকার নেই কারাগার-কাশ্মীরে।


  • August 13, 2019
  • (0 Comments)
  • 1999 Views

একটি রাজ্যকে তার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নামিয়ে আনা হল, ভেঙে দু’টুকরো করে দেওয়া হল, এমনকী অন্যতম অংশ লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না অর্থাৎ দেশের মধ্যে লাদাখের মানুষের কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকবে না— নেওয়া হল এমনও সিদ্ধান্ত। কিন্তু, সে বিষয়ে মতামত প্রকাশের অধিকারই নেই কাশ্মীরের, কাশ্মীরি আমজনতা থেকে বিদ্বজ্জনদের, সংবাদমাধ্যমের। লিখছেন দেবাশিস আইচ

 

কেমন আছে কাশ্মীর? যেটুকু ছবি, যেটুক খবর এই অবরুদ্ধ রাজ্য থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে এসে পৌঁছচ্ছে, তা আশঙ্কা আর উদ্বেগকেই বাড়িয়ে তোলে। যোগাযোগের সমস্ত মাধ্যমই তো এখন অধরা। ৪ অগস্ট, রাত ৮টা ৫৭-তে এসে স্তব্ধ হয়েছে বন্ধু ও এক সময়ের সহকর্মী সাজাদ রসুলের ফেসবুক টাইমলাইন। সে লিখেছিল, “দখলকারীদের সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র হল বিভিন্ন উপায়ে মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করা — এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধাবস্থা। সীমান্ত দপ করে জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, কাশ্মীর বিষয়ক কিছু নীতি পরিবর্তন হতে পারে, বর্তমান অনিশ্চয়তায় গণ-গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটতে পারে।”

 

সাজাদ ‘নীতি পরিবর্তন’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিল তা এখন জানার উপায় নেই। কিন্তু, সে কি ভাবতে পেরেছিল, একটি সরকার গুপ্তঘাতকের মতো যাবতীয় শঠতা ও প্রবঞ্চনাকে হাতিয়ার করে স্রেফ রাতারাতি দ্বিখণ্ডিত করতে পারে তার রাজ্যকে, কেড়ে নিতে পারে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মপরিচয়ের অধিকার? সে কি ভেবেছিল, গণ-গ্রেফতার নয়, সমগ্র রাজ্যকেই বন্দিশালায় পরিণত করা হবে? এই মুহূর্তে আর তা জানা যাবে না।

 

২, ৩, ৪ অগস্ট পর পর তিনদিন চৌধুরী রাবেয়া শফিকের facebook পোস্টে পাওয়া গেল পেট্রোল পাম্প ঘিরে জ্বালানি সংগ্রহের উন্মাদনা, পাম্পে ঢুকবার গাড়ি-বাইকের লাইনে অবরুদ্ধ সড়ক। শুধু গাড়ি নয়, জ্যারিকেন, পেট বোতলে ভরে নেওয়া হচ্ছে জ্বালানি। ‘প্যানিক ইন কাশ্মীর’ শিরোনামের পোস্টে বিরক্ত রাবেয়া একবার বলেই ফেলল, হচ্ছেটা কী? কাশ্মীর কি এই পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেনি? পরিস্থিতি বলতে, জম্মু-কাশ্মীরে ততদিনে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন শুরু হয়েছে। আর এক অজানিত আশঙ্কায় মানুষ জ্বালানি সংগ্রহের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই গুজ্জর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা স্তব্ধ। জানা যাবে না, এমন এক পরিস্থিতির কথা সে দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিল কি না!

 

এই সময় কাশ্মীরের দিকে নজর রাখতে রাখতে সাজাদ, রাবেয়াদের পোস্ট, অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের খবর, তীর্থযাত্রী-পর্যটক, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ শুনে মনে হয়েছিল — আবারও বোধহয় জনতা সরকারের গভর্নর জগমোহন-রাজ শুরু হল। যখন কাশ্মীরে পা-দেওয়ার পর পরই জগমোহন উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য পণ্ডিতদের উদ্দেশ্যে চেতাবনি দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট, মিলিট্যান্ট ও জেকেএলএফ বিরোধী সামরিক অভিযানের মাঝে পড়ে পণ্ডিতদের ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় সরকার নেবে না। এক রকম ভয় দেখিয়ে, নানা যানবাহন বোঝাই করে পণ্ডিতদের উপত্যকা ছাড়া করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল জরুরি অবস্থার দিল্লির দাগি প্রশাসক জগমোহনের হাত ধরে। পণ্ডিতদের উপর পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অত্যাচারের কাহিনি তার অনেক পরের কথা। এই উদ্বেগ, আতঙ্ক লিখিয়ে নিল, “তবে কি জম্মু-কাশ্মীর থেকেই ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র’র বিরুদ্ধে সঙ্ঘী-ফ্যাসিস্তদের চূড়ান্ত হানাদারি শুরু হতে চলেছে।” সকাল হতে না-হতেই এই আশঙ্কাই যেন সত্য প্রমাণিত হল।

 

বলছিলাম, জানার কথা। দেশের সহনাগরিকদের ভালো-মন্দ জানার কথা। তারা গৃহবন্দি। কার্ফু, ১৪৪ ধারা, কাঁটাতারের বেড়া, ব্যারিকেড। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় দখল নিয়েছে সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনী, গৃহস্থের ছাদের দখলও, হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল। কত সেনা মোতায়েন হয়েছে? সাত লক্ষ। জম্মু-কাশ্মীরের জনসংখ্যা কত? এক কোটি ২০-২৫ লক্ষ। অর্থাৎ, প্রতি ১৪/১৫ জন কাশ্মীরির মহড়া নেওয়ার জন্য একজন সেনা, যার হাতের মারণাস্ত্রের ম্যাগাজিনে এর বেশি বুলেট থাকে। ছবিই বলে দিচ্ছে কবরের শান্তি বিরাজ করছে কাশ্মীর জুড়ে। ঝাঁপ ফেলা দোকান, মানুষবিহীন বাজার, পথঘাট কাঁপিয়ে শুধু ভারী বুটের শব্দ। জানার অধিকারের কথা ভাবতে গিয়ে মনে হল মানুষগুলো খাচ্ছে কী? সাতদিন কাটল। আশঙ্কার ভর করে তারা জ্বালানি কিনেছে, এটিএম খালি করে টাকা তুলেছে, খাবার মজুত করেছে আগেভাগে। কিন্ত তা কতদিন চলবে? কতজনই বা পারে মজুত করতে? যারা দিন আনে দিন খায়? চুঁইয়ে পড়া খবর বলছে ব্যাঙ্কের ভল্টে, এটিএম-এ টাকা বাড়ন্ত। সে তো শ্রীনগরের কথা। জেলাগুলোয়, প্রত্যন্ত প্রান্তগুলোর খবর তো মিলছে না। তবে কি শুধু শুধু কয়েদ করে রাখা নয়, জেনেবুঝে না-খাইয়ে শুকিয়ে মারার মতলবও আছে তাহলে। জানা যাচ্ছে, ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর প্রেস্ক্রিপশন বুকে সেঁটে ধরে নিয়ে অসহায় স্বামী মাথা কুটছে সেনা ব্যারিকেডে। দু’দিন হল ওষুধ ফুরিয়েছে। ব্যারিকেড থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। বিনা চিকিৎসায় মারা, মেরে ফেলাও কি তবে পরিকল্পনারই অঙ্গ? বণিক সংগঠন জানাচ্ছে হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে সাতদিনে। এই হিসেবের মধ্যে নিশ্চয়ই ধরা হয়নি ঠেলাগাড়ির কিংবা ফুটপাতের হকারদের।এতো বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়ার সামিল। জরুরি অবস্থা জারি না-করেও সমস্ত নাগরিক ও মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া গিয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও কি কেড়ে নেওয়া হল? জরুরি অবস্থাতেও যা ইচ্ছেমতো কেড়ে নেওয়া যায় না।

 

কাশ্মীরে এই প্রশ্ন করার অধিকারটুকুই তো কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের মানুষের মনের কথা যদি জানার অধিকার না-থাকে তবে কেমন করে কেউ বুঝবে মোদি-শাহ-দোভালরা সত্যি কথা বলছেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা তো ভারতীয় সংবিধান শুধুমাত্র মোশাদো জোটকেই দেয়নি, সে স্বাধীনতা তো কাশ্মীরিদেরও সমভাবে থাকার কথা ছিল। সে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। আইনের কাছে সমানতাও তো সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। সে কোথায় রক্ষিত হল? ভারতীয় ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সামান্য একটি অংশই এখন কাশ্মীরে। শ্রীনগরে সামরিক ঘেরাটোপের মধ্যেই তারা সক্রিয়। বলতে দ্বিধা নেই এর মধ্য থেকেই প্রশংসনীয় কাজ করছে তাদের অনেকেই। সে খবর অস্বস্তির। খুশির ইদহারা ক্রোধ, অসহায়তা, ক্ষুধা, ভয়, মৃত্যুর।

 

কিন্তু, কোথায় কাশ্মীরি সংবাদমাধ্যম? একদিকে তো মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড অকেজো, অন্যদিকে চোখরাঙানি, বন্দুকের নল। শ্রীনগর থেকে রয়টারস জানাচ্ছে, কাশ্মীরের ১৮০টি ইংরেজি ও উর্দু দৈনিক সংবাদপত্রের মধ্যে বিগত ৫ অগস্ট থেকে মাত্র পাঁচটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। ১২ পাতার ইংরেজি ‘রাইজিং কাশ্মীর’ কোনোরকমে চার পৃষ্ঠা প্রকাশ করতে পারছে। তাদের উর্দু ও কাশ্মীরি সংস্করণ বন্ধ। সে কাগজও পাঁচ কিলোমিটারের ব্যাসার্ধের বাইরে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পারছেন না হকাররা। সরকারি মুখপাত্র অবশ্য বলছেন সংবাদপত্র প্রকাশে কোনও বাধা নেই। কিন্তু, শ্রীনগর হোক কিংবা জেলার সাংবাদিকদের কোনোরকম কার্ফু পাস ইস্যু করা হচ্ছে না। ক্ষোভ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। তার আবেদন, সংবাদপত্র প্রকাশ এবং সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আদালত রায় দিক। তাঁর অস্ত্র সংবিধানের দুই মৌলিক অধিকার — আইনের চোখে সমানতা (অনুচ্ছেদ ১৪) এবং বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা [অনুচ্ছেদ ১৯(১) (ক)]

 

Kashmiri men shout slogans during a protest after the scrapping of Article 370 by the Indian government, in Srinagar, on Sunday. (Reuters)

 

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এই মতপ্রকাশের স্বাধীনতারই অন্তর্ভুক্ত। এর অর্থ কেবল  কারও নিজস্ব অভিমত প্রকাশের স্বাধীনতাই নয়, অন্যদের অভিমত প্রকাশ করার স্বাধীনতাও — এবং তা মুদ্রণ সহ যে কোনো উপায়ে। এই মত সংবিধান বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন বিচারপতি দুর্গাদাস বসুর। তাঁর অন্যতম প্রধান ব্যাখ্যা, রাষ্ট্রের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত হবে না যদি রাষ্ট্র “সংবাদপত্রের উপর এমন বিধি প্রয়োগ করে যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে বা খর্ব করে কিংবা যা সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা হ্রাস করে এবং তার ফলে সংবাদ-প্রচারের পরিধি সংকুচিত হয় অথবা সংবাদপত্র তার অধিকার প্রয়োগের উপায় নির্বাচনের স্বাধীনতা হারায় কিংবা তাকে সরকারি সাহায্য চাইতে বাধ্য করে তার স্বাধীনতা ধ্বংস করে।” এ ক্ষেত্রে বলা যায়, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা, কার্ফু পাস দিতে অস্বীকার অবশ্যই সংবাদমাধ্যেমের স্বাধীনতা হরণ, তার ‘অধিকার প্রয়োগের উপায় নির্বাচনের স্বাধীনতা’ কেড়ে নেওয়া। এই তো সাম্প্রতিক অতীতে কাশ্মীরের তিনটি ‘অবাধ্য’ সংবাদপত্রকে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে রাজ্য সরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়াও বন্ধ করা হয়েছিল। সংবাদপত্রকে বাগে আনতে এও এক সরকারি কৌশল।

 

একটি রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নামিয়ে আনা হল, ভেঙে দু’টুকরো করে দেওয়া হল, এমনকী অন্যতম অংশ লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না অর্থাৎ দেশের মধ্যে লাদাখের মানুষের কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকবে না— নেওয়া হল এমনও সিদ্ধান্ত। কিন্তু, সে বিষয়ে মতামত প্রকাশের কোনও অধিকারই নেই  কাশ্মীরের, কাশ্মীরি আমজনতা থেকে বিদ্বজ্জনদের, সংবাদমাধ্যমের। উল্টে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্তত পাঁচশো জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিককে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

 

অধ্যাপক অমর্ত্য সেন অনেকবারই গণতন্ত্রে স্বাধীন সংবাদপত্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কখনও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের দৌলতে চিনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সংবাদ প্রকাশ্যে না-আসার কুফল নিয়ে কখনও বা জঁ দ্রেজের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন-অনুন্নয়নে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা খতিয়ে দেখার মধ্য দিয়ে। তাঁদের মতে,  “(ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন) মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার একটা নিজস্ব মূল্য রয়েছে। সাধারণ মানুষ এই স্বাধীনতা উপভোগ করে। কিন্তু, এটি গণতান্ত্রিক রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারও বটে। যা মানুষের সামর্থ্য এবং প্রকৃত অংশগ্রহণ জোরদার করে।” এর ফলে তাঁর মনে হয়েছে, “সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণে দরিদ্রতম মানুষেরও আগ্রহ বেড়েছে।” 

 

Frontpage Headlines of major Indian Newspapers on Kashmir

 

বর্তমান আলোচনার ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক কাশ্মীর কিংবা উত্তর-পূর্ব ভারত বিষয়ে ভারতীয় সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে সেন ও দ্রেজের অভিমত।

 

“One of the persistent problems has been a serious inadequacy in the acknowledgement and questioning of infrigements of civil and political rights of Kashimir and in other areas where there are concerns — or alleged concerns — over national security, such as parts of the North-East.

 

“There is a real problem here. The media may see it as ‘self-discipline’ not to interfere with national security, but its resulting silence on matters of civil rights and democracy in some critical areas is a huge departure from the general vigor of the democratic process in India.

 

“The complexity of the issue does not detract from the critical importance of frankly reporting and firmly denouncing violations of personal and civil liberties in Kashmir or anywhere else. Demanding more respect for human rights need not stand in the way of a peaceful political settlement in Kashmir, and may well facilitate it, since rough treatment generates further alienation of the population. The media’s duties include subjecting these immensely important issues of democratic practice to a more critical examination, including reporting on the horrors that are committed not only by some extremist groups but also by the police and the Indian Military.”

 

যে কোনও ভক্ত এই বয়ান পড়বার পর সেন ও দ্রেজকে ‘অয়ান্টি ন্যাশনাল’ বলে ট্রোল করবে এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সংশয় নেই সম ঘৃণার স্বরে কোনও চিল্লানেসোরাস অ্যাঙ্কর তাঁদের ‘টেররিস্ট’ ঘোষণা করে বসতে পারে। বিগত পাঁচ-সাত বছর ধরে দেশজুড়ে যে ঘৃণার চাষ হয়ে চলেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা যে তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেখানে মোদি ও তাঁর ট্রোল ব্রিগেডের সঙ্গে এই জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির এক মস্ত বড়ো ভূমিকা রয়েছে। খুব কম সংবাদমাধ্যমই তার স্বকীয় স্বাধীন সত্ত্বা বজায় রেখে চলতে পারছে। মূল্যও দিতে হচ্ছে তার জন্য। ক্ষমতাকে সত্য কথন শোনানো যখন ব্রত, মূল্য তো চোকাতেই হবে।

 

ঋণ স্বীকারঃ

(১) দুর্গাদাস বসু, ভারতের সংবিধান পরিচয়, ওয়াধওয়া, ২০০১।

(২) Jean Dreze, Amartya Sen, An Uncertain Glory, India and its contradictions, Penguin, 2014.

(৩) ঐ।

 

Cover Image Courtesy : http://www.arabnews.com

 

 

Share this
Leave a Comment