রাষ্ট্রদ্রোহীর তকমা দিয়ে এই পরিবেশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একদা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ব্যবহারযোগ্য’ ব্যক্তি এখন হয়ে পড়েছেন দেশদ্রোহী! রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারী!
দেবোপম গঙ্গোপাধ্যায়
যে সময়ে এই লেখা, সেই মুহূর্তে বাংলা তথা ভারতবাসীর কাছে নতুন করে জানানোর কিছু নেই – লাদাখ এখন শিরোনামে। নতুন করে জানানোর কিছু নেই সোনাম ওয়াংচুক কে, তাঁর পরিচয় কী, লাদাখে গত তিন বছর ধরে কী কী বিষয়ে অনশন-আন্দোলন থেকে শুরু করে পদযাত্রা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষা এবং তাকে ঘিরে আন্দোলন শুধু ভারতবর্ষে নয়, তামাম দুনিয়াজুড়ে ফেটে পড়ছে বিবিধ স্বরে। কখনও কখনও তা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় সুরে নাচছে, কখনও তা বিরুদ্ধ-মত স্থাপন করতে পারছে। এছাড়াও রয়েছে আঞ্চলিক সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন – যা গত চার দশকের বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের মূল অক্ষ হয়ে উঠেছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে এই অক্ষ হয়ে উঠে আসাও বৈশ্বিক। অর্থাৎ লাদাখের গল্পটি, লাদাখবাসীর সমষ্টিগত কন্ঠস্বর বৈশ্বিক এবং একক। এই ‘এবং’-এর টানাপড়েন দিয়েই আমাদের অনিশ্চিত মুহূর্তকে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিজের কাছে সৎ থাকলে আমরা সবাই দেখতে পাব, এই (প্র)চেষ্টার চরিত্রও তেমনই, ‘এবং’-এর উপর দাঁড়িয়ে, টলমল। যা একান্ত ব্যক্তিগত, তা আসলেই সর্বজনীন।
ওপর ওপর কথা আর কাব্য ছেড়ে এবার খানিক কঠিন, কঠোর বাস্তবে পা মেলানো যাক। যদিও, শেষমেশ এই লেখা শুরুতেই ফিরে আসবে। আগামী অক্টোবরে লাদাখে ভোট। মনে রাখতে হবে, লাদাখ ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই প্রক্রিয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের মধ্যে দিয়ে হাসিল হয়। সময়ের ধূসরতা এমনই, সোনম ওয়াংচুক এই বিলোপ-প্রক্রিয়ার পক্ষে দাঁড়ান। পক্ষে দাঁড়ানোর পিছনের প্রেক্ষিতটি এই আলোচনায় বোঝা জরুরি। লাদাখ অঞ্চলটির ইতিহাস একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এর বিশেষ তাৎপর্য এই মুহূর্তে কীরকম। সরলীকরণের ঝুঁকি নিয়েই বলছি- লাদাখ অঞ্চলটি দোগড়া রাজবংশের কবলে চলে আসে এবং ইতিহাসের বিভিন্ন ঝড়ঝাপটা এবং টানাপড়েন সত্ত্বেও জম্মু-কাশ্মীরের অধীনেই লাদাখ অঞ্চলটিকে মাপা বোঝা নিয়ন্ত্রণ করার কাজ সম্পন্ন হয়ে চলছিল বহু বহু যুগ ধরে। ১৮৩৪-২০১৯, কম সময় তো নয়। এই মাপা বোঝা ও নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি কোনও সরলরৈখিক পথে যে এগোয়নি, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। তার মধ্যে মিশে রয়েছে রাজবংশ, ঔপনিবেশিক এবং ভারত রাষ্ট্রের তিন ধারাই। লাদাখবাসী কোনওদিনই জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সংস্কৃতিকে আপন করে নিতে পারেনি। সেই সুযোগও সামাজিক-রাজনৈতিক কারণেই তৈরি হয়নি। আপাতত সেই এলাকায় বিচরণ করছি না। করার অধিকারও নেই আমার। তবে এই রচনার প্রয়োজনে নির্যাসটি নিচ্ছি এভাবেই- লাদাখবাসী ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক অর্থে বঞ্চিত হয়ে এসেছে বলেই তাদের সমষ্টিগত দাবি। ২০১৯-এ তাই যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী লাদাখবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি তাদের স্বাধিকার দেবেন, আত্মনির্ভরতার স্বাদ এনে দেবেন, তখন তারা এই প্রতিশ্রুতিকে তাদের ঐতিহাসিক বিশ্রুত হয়ে বিপক্ষে একধাপ এগিয়ে চলার পাথেয় ভেবে নিয়েছিল। কিন্তু, প্রত্যেক চলার মতোই ইতিহাসের চলাও তো সরল বা তরল নয়। বরং তা আরও চোরাবালি দিয়ে ঘেরা। স্বাতন্ত্র্যের নাম করে, স্বাধিকারের নাম করে, ২০১৯ থেকে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হল। আগে যেটুকু ছিঁটেফোটা আওয়াজ বিধানসভায় গিয়ে পৌঁছাত, এবার সেই পরিসরও আর রইল না। এছাড়া কোনও পঞ্চায়েত নেই। গোটা লাদাখের জন্য একটি কাউন্সিল রয়েছে। যার উপরেও লাদাখবাসী আর ভরসা করতে পারছে না। আমলারা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন পার্টির কাছে বিকিয়ে দিয়েছে নিজেদের মেরুদণ্ড। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সোনমরা অনশন-আন্দোলন শুরু করেছেন। ১৫ জন মিলে। প্রত্যেক দিন সেখানে ৩০০/৪০০/৫০০ জন এসে একদিনের অনশন করে সংহতি জানাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী লাদাখবাসীকে ‘ইন্ডিজেনাস’ স্বীকৃতি দেওয়া হোক এবং, লাদাখ অঞ্চলকে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যা আসলে প্রতিশ্রুত, যা এখনও পাওয়া বাকি। এর উপর রয়েছে লাদাখে ক্রমবর্ধমান বেকারের সংখ্যা, রয়েছে চীন-ভারত সম্পর্কের প্রত্যক্ষ প্রভাব এবং উন্নয়ন; সেই জাদুকাঠি। যা দিয়ে বেড়াল রুমাল হয়ে যেতে পারে। এবার আসা যাক সেই প্রসঙ্গে।
২০১৩-তে লাদাখের হানলেতে একটি পরিবেশবান্ধব শক্তিউৎপাদন পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। গত দু-তিন দশকজুড়ে সবুজশক্তিকে বিকল্প শক্তি উৎপাদনের জন্য দেখতে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র। লাদাখ, পূর্বোল্লিখিত সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের অন্তর্গত। লাদাখের মানুষ পাল্টা তিনটি শর্ত ছুঁড়ে দেন – (১) লাদাখের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা, (২) বাসিন্দাদের জন্য কাজ এবং (৩) উৎপাদন থেকে যা লাভ হবে তার কিয়দাংশ স্থানীয় কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত করা। বলাই বাহুল্য, এই পরিকল্পনা অধরাই থাকে। এরপর লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। সোনম ওয়াংচুকের দাবি, লাদাখে যে হিল অটোনমি কাউন্সিল রয়েছে, তার আগে খানিক সক্ষমতা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সেখানকার প্রতিনিধিদের বিজেপি সরকার কিনে নিতে পেরেছে। এবার আসা যাক, ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় সৌর ও বায়ুজনিত শক্তি-উৎপাদন পরিকাঠামো পরিকল্পনার গল্পে। পাং সোলার পার্ক নামক এই পরিকল্পনায় ০৯ গিগাওয়াট সৌর ও ০৪ গিগাওয়াট বায়ুশক্তি উৎপাদন করার কথা ভাবা হচ্ছে লাদাখের খারনাক ও সামাদ-রাকচান চারণভূমি জুড়ে। কিন্তু জমি? এখানেই রয়েছে এ মুহূর্তের সবচেয়ে গভীর দ্বন্দ্ব। এ মুহূর্তের, অর্থাৎ একুশ শতকের। একদিকে পরিবেশবান্ধব সবুজশক্তি, যার প্রয়োজন নিঃসন্দেহে। অন্যদিকে যাযাবর-পশুপালক এক সমাজের জীবিকা, যা সরাসরি খারনাক ও সামাদ-রাখচান চারণভূমির সঙ্গে যুক্ত। উন্নয়ন বলতে আমরা কী বুঝব? পরিবেশবান্ধব বলতে আমরা কি-তা সংস্কৃতি-রাজনীতি বহির্ভূত কিছু ভাবতে পারি? প্রকৃতি বলে সনাতন কোনও বস্তু কি রয়েছে, যার বিপ্রতীপে মানুষ তার সভ্যতা গড়ে তোলে? নাকি প্রাণ-প্রকৃতির টানাপড়েন, মেলামেশা, ওঠাপড়া ইতিহাসের এক একটি খন্ডে এক-একরকমের মন নির্মাণ করতে করতে যায়? এই প্রশ্নগুলোর কোনও সহজ উত্তর নেই। এছাড়াও রয়েছে গণতন্ত্রের প্রশ্ন, স্বাধিকার বা সার্বভৌমত্বের কথা, আমরা আজ ক্রমাগত ভাঙতে থাকা জাতি-রাষ্ট্র কাঠামোর দিনে কীভাবে ভাবব? কীভাবে দেখব দেশি-বিদেশি পুঁজির চলন? ক্রমবর্ধমান প্রাণ-প্রকৃতি বিপর্যয়ের মুখে জাতি-রাষ্ট্র কাঠামো কতটা প্রাসঙ্গিক? প্রাসঙ্গিক না হলে নাগরিকত্ব নিয়ে আমাদের এবং উত্তরপ্রজন্মের ভাবনা কোন্ গতে এগোবে? প্রশ্নগুলো থাকুক। আসলে এই প্রশ্নগুলো বিশ শতকেরই প্রশ্ন। একুশ শতকের রঙ এখনও এরা পায়নি।
আমরা জানি সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বিদেশি সাহায্য নিয়ে তাঁর আন্দোলন চালাচ্ছিলেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বরের ‘ভায়োলেন্স’ তারই অংশ। এখানে ইচ্ছে করেই ভোলানোর চেষ্টা করানো হচ্ছে সেরিং আংচুক (৭২ বছর বয়স) এবং তাশি দালমার কথা (৬০ বছর বয়স)। তাঁরা দু’জনেই অনশন-আন্দোলন চালাতে চালাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২৪ তারিখ সকালবেলা। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এরপরেই লে শহরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তরুণ-তরুণীরা। বিজেপির পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, পুলিশি আক্রমণে আহত হয়েছেন একাধিক যুবক-যুবতী। নিহত হয়েছেন চারজন। সোনম এই বিক্ষোভের ধরণ নিয়ে জনসমক্ষে দ্বিমত জানালেও, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতার ও সোনামকে কালিমালিপ্ত করা বেশ কিছুদিনের প্রক্রিয়া, যার নতুনতম অধ্যায় এই মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। তাঁর নামে এফআইআর করা হয় ১ সেপ্টেম্বর। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর কাছে নোটিস যায় যে, সোনমের বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেড়ে নেওয়া হবে অর্থনৈতিক ‘গোলযোগ’-এর কারণে। রাষ্ট্রদোহীর তকমা দিয়ে এই পরিবেশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একদা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ব্যবহারযোগ্য’ ব্যক্তি এখন হয়ে পড়েছেন দেশদ্রোহী! রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারী! ভুলে গেলে চলবে না গত ১০ বছরে ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা’-র কারণ দেখিয়ে গুম করা হয়েছে নাজিবকে, হত্যা করা হয়েছে স্ট্যান স্বামী, জিএন সাইবাবাকে। বছরের পর বছর জেলে আটক উমর খালিদ, গুলফিশা ফাতিমারা। এর উল্টোদিকে সোনম এবং তাঁর কমরেডরা যে লড়াই শুরু করেছেন তা অভিনব। আমি সকল পাঠককে বলব একবার গিয়ে ভালো করে সোনমের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল-এ ঘুরে আসতে। ভালো করে তাঁর কথা, তাঁর সহযোদ্ধাদের কথা, লাদাখের সাধারণ মানুষের কথা শুনে আসতে। বোধহয় সকলেই বুঝতে পারবেন এক নতুন ব্যাকরণ নির্মাণ হয়ে চলেছে আমাদের সকলের চোখের সামনে। ভার্চুয়াল মাধ্যমের ব্যবহার এ যুগের সামাজিক আন্দোলনে কী ভূমিকা নেয় তা নতুন করে বলার নেই। গত তিন বছর ধরে নানাভাবে সরকার এবং রাষ্ট্রের কাছে বক্তব্য রেখে লাদাখের মানুষ বুঝেছেন, এ দেশে ক্ষমতাসীন মানুষেরা সবকটা কবন্ধ। তাই তারা এক কবন্ধ-যুগ, এক কবন্ধ-প্রজন্ম নির্মাণ করতেও উঠে পড়ে লেগেছে। লড়ে যাচ্ছেন সোনম, সেরিং, তাশিরা। অভিনব কায়দায়। তাঁরা জানেন, এই লড়াই অসম। বিপুল এক রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই। এক মুহূর্তের এদিক-ওদিক এবং তাঁদের গোটা সমষ্টিগত জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে। এর মধ্যেও এক নতুন আন্দোলনের ব্যাকরণ যেন হাতড়ে চলেছেন তাঁরা।
শেষ করে আনার চেষ্টা করি। যদিও প্রচুর কথা, তথ্য, ছবি বাকি থেকে গেল। শুরুতেই ফিরে যাই। ‘এবং’-এর প্রশ্নে। আমরা জানি বিশ শতকে সোভিয়েত এবং মার্কিনমুলুককে কোনও এক বিন্দুতে খুব সহজে এক করা যেত তা হলো উন্নয়নের প্রশ্ন। খোলা বাজারের দুনিয়াতেও আমরা দেখব চীন রাষ্ট্র কীভাবে হাজার হাজার একর জমি ছিনিয়ে নিয়েছে সবুজশক্তি উৎপাদনের জন্যে। সেখানেও পরিস্থিতি দ্বন্দ্বমুখর। যে পুরোনো কিন্তু সদা চলমান প্রশ্নগুলো গোছ করলাম একটু আগে, সেই প্রশ্ন চিনের প্রসঙ্গেও খাটে। শুধু চীন কেন, পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে খাটে। এবং এখানেই ‘এবং’-এর চিন্তা। কীভাবে বৈশ্বিক ‘এবং’ এককের পদ্ধতি ধরে আমাদের সম্মিলিতভাবে এক নতুন মানচিত্র কল্পনা করার কাজে হাত লাগাতে হবে। এ স্রেফ বিজেপি-বিরোধী লড়াই নয়। স্রেফ বাম ঐক্যের ভালো ফলাফল করার গল্পও নয়। এ এক লম্বা লড়াই। প্রত্যেক ধাপে যার ছোট ছোট ঘাত-প্রতিঘাত, প্রত্যেক বাঁকে নতুন নতুন ফাঁদ, প্রত্যেক মোড়ে চেনা আলো চেনা অন্ধকার, চেনা ঘৃণা-বিদ্বেষ, চেনা ভয় অচেনা আপোষ। লাদাখের এই লড়াইয়ে শেষ পরিণতি কেউ জানে না। তাই, লাদাখবাসীর এই ধাপটি, ইতিহাসের পাতায় তাঁদের এই বাঁকটি, আমাদের নতুন চোখ নিয়ে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। অনিশ্চিতকে স্বীকার করে, অনিশ্চিতের কাছে হার স্বীকার না করে। আপাতত, কলকাতা থেকে সোনমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করি। লাদাখবাসীর এই লড়াই আমাদের বর্তমান জ্যামিতির সমীকরণ বুঝতে যেন আরও একটু সাহায্য করে, সেই কামনা করি।
________________
দেবোপম গঙ্গোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে গবেষণারত।

