প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইন সত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী অধ্যাপক


  • August 16, 2022
  • (0 Comments)
  • 834 Views

গ্রাউন্ডজিরো রিপোর্ট। সুদর্শনা চক্রবর্তী।

 

আশি শতাংশ প্রতিবন্ধকতা, দুর্ঘটনায় অস্ত্রোপচারে বাদ গেছিল দুই হাত। অধ্যাপক অরুণ সরকার ২৬ বছর আগে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় তাঁর দু’টি হাত হারান। একজন প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তি হিসাবেই তিনি তাঁর শিক্ষাক্ষেত্রে পেশাদার জীবন যাপন করে চলেছেন দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে। গত পাঁচ বছর তিনি আচার্য গিরিশচন্দ্র বোস কলেজে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন ও তাঁর এই বর্তমান কর্মক্ষেত্রর বিরুদ্ধেই বৈষম্যর অভিযোগ এনে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন।

 

ইউনাইটেড নেশন-এর কনভেনশন অফ দ্য রাইটস অফ পার্সনস উইথ ডিসএবিলিটিস (ইউএনসিআরপিডি) ২০০৬-এ ভারত একজন অন্যতম স্বাক্ষরকারী ও এ দেশে তা অনুমোদিত, বহু আন্দোলনের শেষে ভারতে পাশ হয়েছে রাইটস অফ পার্সনস উইথ ডিসএবিলিটিস অ্যাক্ট (আরপিডি) ২০১৬। ইউএনসিআরপিড-র মূল উদ্দেশ্য – প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সমস্ত মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার সম্পূর্ণ ও সমানভাবে সুনিশ্চিত করা, প্রচার করা, সুরক্ষিত করা। আরপিডি-তে বলা হচ্ছে একটি যথাযথ সরকার একজন প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তির জন্য সমানাধিকার, মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও অন্য সকলের সঙ্গে সমানভাবে যাতে নিজের পূর্ণ জীবনের অধিকার উপভোগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করবে। সামগ্রিকভাবে কোনও প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গেই সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে কোনওরকম বৈষম্য হওয়ার কথা নয়। বাস্তব অবশ্য সচরাচর ঠিক বিপরীত চিত্রটিই আমাদের সামনে তুলে ধরে। উল্লেখ্য আরপিডি ২০১৬ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কোনও রকম বৈষম্য করা হলে তা এখন এ দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

অথচ অধ্যাপক সরকার তাঁর বর্তমান কর্মক্ষেত্রে এই বৈষম্যের শিকার হয়ে চলেছেন গত বেশ কয়েক বছর ধরে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তিনি আইনি পথে যেতে বাধ্য হন। কলকাতা হাইকোর্টে এই কেসটি উঠলে জাস্টিস মৌসুমি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে ইউএনসিআরপিডি ও আরপিডি-র উল্লেখ করে আচার্য গিরিশচন্দ্র বোস কলেজের গর্ভনিং বডি-কে তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ও তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটা বৈষম্যর বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরপিডি-র উল্লেখ ও ব্যবহার নিঃসন্দেহে এক ইতিবাচক দিক।

 

অধ্যাপক সরকার উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটির বাসিন্দা। ১৯৯৭-তে দুর্ঘটনায় দু’টি হাত অস্ত্রোপচারে বাদ পড়ায় তিনি প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ার পরে ১৯৯৯তে গরিফা হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটেগরিতে। এরপর ২০১০ সালে তিনি একই ক্যাটেগরিতে মুর্শিদাবাদের কান্দি রাজ কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ২০১৭ পর্যন্ত সেখানে তিনি কর্মরত ছিলেন। তাঁর এই দু’টি কর্মক্ষেত্রেই তিনি শিক্ষক, অধ্যাপক হিসাবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন, কাজের ক্ষেত্রে তিনি কৃত্রিম হাত ব্যবহার করে থাকেন। দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ না পারা, গাফিলতি বা অন্য শিক্ষকদের থেকে পিছিয়ে থাকার কোনও অভিযোগ কোনও দিনই ওঠেনি। পড়ানো, পরীক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন, ইভ্যালুয়েশন ইত্যাদি সবই তিনি করেছেন ও করছেন। কান্দি রাজ কলেজে নৈহাটি থেকে প্রতিদিন ৪৮০ কিলোমিটার যাতায়াতের অসুবিধার জন্য অধ্যাপক সরকার বদলির আবেদন করলে কলেজ সার্ভিস কমিশন শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটেগরিতেই তাঁকে কলকাতার আচার্য গিরিশচন্দ্র বোস কলেজে বদলি করে। এই সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কলেজের গর্ভনিং বডির। কারণ – অধ্যাপক সরকারের প্রতিবন্ধকতা। তারা কলেজ সার্ভিস কমিশনে অনুরোধ জানায় যাতে এই নিয়োগ না করা হয় কারণ পড়ানো, ইভ্যালুয়েশন এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অ্যাসাইনমেন্ট করার ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে উঠতে পারে। এই সিদ্ধান্তকে অধ্যাপক সরকার হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন ও ২০১৭ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রভিশনাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে বাধ্য হয়। নিয়োগ হলেও বৈষম্যের পরিবেশ বদলায়নি গত পাঁচ বছরে। ফলে, কর্মক্ষেত্রে নিজের অধিকারের দাবিতে তিনি আবারও হাইকোর্টে পিটিশন করতে বাধ্য হন।

 

অধ্যাপক অরুণ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের বক্তব্যে বলেন, “২০১৬-এর আরপিডি অ্যাক্ট-এর ভায়োলেশন যখন হচ্ছিল আমার কর্মক্ষেত্রে আমার নিয়োগকে ঘিরে তখন বাধ্য হয়েই আমাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোর্টে যেতে হল। এটা তো হওয়ার কথা নয়। আমি রাজ্য প্রতিবন্ধী কমিশনেও গিয়ে ২০১৭ তে কমিশনারের সঙ্গে দেখা করি। লিখিত দিই। কিন্তু তিনি বিষয়টি জানার পর খুব একটা গুরুত্ব দেন না। তারা এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নেননি। আমাকে একটা চিঠি দিয়ে জানানওনি। মিনিস্ট্রি অফ সোশ্যাল জাস্টিস-এও চিঠি দিই, তারা কপি দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে এরকম ঘটেছে, কিন্তু কেউ কোনও রেসপন্স করেনি। তখনই আমাকে কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে হয়, এতগুলো জায়গায় ভায়োলেশন-এর পর হাইকোর্টের জাজমেন্ট নিয়ে আমাকে এগোতে হয়। আমি মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত সরকারি, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যাবতীয় চিঠি-কাগজপত্রের কপি পাঠিয়ে রাখি। শেষ যে রায় গত ৮ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে বেরিয়েছে সেখানে রায়দানের আট সপ্তাহের মধ্যে পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। আমি আশা করেছিলাম অর্ডার করে নিয়োগ কমফার্ম করার কথা বলা হবে। অ্যাক্ট তো রয়েইছে। অ্যাক্ট-টা বুঝতে কী কোথাও ফাঁক রয়ে যাচ্ছে? অ্যাক্ট-এ রয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সঙ্গে বৈষম্য হলে তা এমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ যাতে জেল, জরিমানা দুটোই হতে পারে। কোথাও গিয়ে যেন বিষয়টাকে একটু সফট ওয়ে-তে দেখা হচ্ছে। যদি গর্ভনিং বডি নির্দিষ্ট সময়ের পরে পুনর্বিবেচনা না করে, তাহলে কী হবে? আমাকে কী আবার চ্যালেঞ্জ করতে হবে? কোর্ট ইতিমধ্যেই কেসটিকে ডিজপোজ করে দিয়েছে। পাঁচ বছর হয়ে যাওয়ার পরেও কনফার্মেশন দেয়নি, পি এফ কাটতে দিচ্ছে না, পে প্রোটেকশন পাচ্ছি না – অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে সব জায়গা থেকেই আমি বৈষম্যের শিকার হয়ে চলেছি। তাছাড়া আমার বর্তমান কর্মক্ষেত্রে কোনও অ্যাক্সেসিবিলিটি তো নেই-ই। আমি কাজে যোগ দেওয়ার পরেও তারা এই বিষয়ে কোনও নজর দেননি বা দিচ্ছে না। অ্যাক্ট-এ বলা আছে আমাদের অধিকার, রাইটস্‌-এর কথা। শুধু এমপাওয়ারমেন্ট কিন্তু নয়। এইটিও বিবেচ্য।”

 

অধ্যাপক সরকারের আইনজীবী সুবীর সান্যাল জানালেন, বদলির আবেদন প্রাথমিকভাবে করা হয়েছিল কারণ দুই জায়গায় থেকে পরিবার ও কর্মক্ষেত্র সামলানো সমস্যাজনক হয়ে পড়ছিল। অধ্যাপকের বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, দুই মেয়ে ও স্ত্রী। তাছাড়া ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্ব ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করাও ছিল খুবই সমস্যাজনক। কিন্তু সে সময়ে বদলির আইন এই ক্যাটাগরিতে ছিল না। ২০১৭তে তিনি আবার কলেজ সার্ভিস কমিশনে বসেন ও আবারও সহকারী অধ্যাপক পদে মনোনীত হন। তখনই তাঁর নিয়োগ হয় আচার্য গিরিশচন্দ্র বোস কলেজে, যেখানে তৎক্ষণাৎ তাঁর নিয়োগ আটকানোর অনুরোধ করা হয় এই যুক্তিতে যে প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনি সঠিকভাবে পড়াতে পারবেন না ও ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হবে। এরপর থেকেই আইনিভাবে বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক সরকার ও অ্যাডভোকেট সান্যাল এগোতে থাকেন। ২০১৬-র প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তিদের অধিকার আইনটি এক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়ক হয়ে ওঠে। অ্যাডভোকেট সান্যাল নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন যে এই অ্যাক্ট-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী পিটিশনার অধ্যাপক সরকারের ৮০% স্থায়ী লোকোমোটর ডিসএবিলিটি রয়েছে এবং তাঁর নিয়োগ আটকানো বৈষম্যমূলক, স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত ও ২০১৬-এর অ্যাক্টটিকে লঙ্ঘন করা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও গর্ভনিং বডি-র আপত্তি সত্ত্বেও দু’দফায় পিটিশন চলাকালীন ২০১৭তে প্রভিশনালি অধ্যাপক সরকারকে নিয়োগ করতে বাধ্য হন তাঁরা। অ্যাডভোকেট সান্যাল মনে করছেন, আদালত নির্দিষ্ট সময়ে কলেজের গর্ভনিং বডি-র সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার যে রায় দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে এই নিয়োগকে নিশ্চিত করা ছাড়া তাদের কাছে কোনও উপায়ান্তর নেই। আরপিডি অ্যাক্ট থাকার ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ের কোনও কেস-এ বর্তমানে সুবিধা হচ্ছে কি? অ্যাডভোকেট সান্যাল বললেন, “অবশ্যই অনেকটা সুবিধা হচ্ছে। এই আইনে প্রায় সবটাই কভার করা হয়েছে। এখানে রিজনেবল অ্যাকোমোডেশন-এর কথা বলা হচ্ছে, আমাদের যদি ‘বেরিয়ার’, ‘রিজনেবল অ্যাকোমোডেশন’, ‘ডিসক্রিমিনেশন’ ইত্যাদির সঠিক আইনি সংজ্ঞা প্রয়োজন হয়, তাহলে এখন এই আইনটিই রয়েছে। এই আইনে বেনিফিশিয়াল প্রভিশনস্‌ রয়েছে। দ্য অ্যাক্ট ইস ইন দ্য নেচার অফ এক্সটেন্ডিং বেনিফিটস। ইট হ্যাজ বিকাম ইজিয়ার ফর দ্য কোর্ট টু এক্সটেন্ড দ্য ইন্টারপ্রিটেশন অ্যান্ড গিভ দ্য বেনিফিট। আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল স্রোতের অর্ন্তভুক্ত করা, ইনক্লুশন।”

 

প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের বরিষ্ঠ কর্মী ও ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম ফর দ্য রাইটস অফ দ্য ডিসএবলড-এর যুগ্ম সম্পাদক শম্পা সেনগুপ্ত হাইকোর্ট-এর রায়ের প্রসঙ্গে বললেন, “বলা হচ্ছে আইনটি এমপাওয়ারমেন্ট-এর জন্য খুবই সহায়ক, কিন্তু অধ্যাপক রিলিফ পেলেন না। পুনর্বিবেচলার কথা বলা হয়েছে, কলেজের গর্ভনিং বডি যদি তা করে জানায় যে রাখব না, সেক্ষেত্রে ওঁর পরিস্থিতি কী হবে? কনর্ফামেশন হওয়া উচিত তো বটেই, সেইসঙ্গে কলেজের শাস্তিও পাওয়া উচিত, কারণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একটা বিষয় হল ১৯৯৫-এর পার্সনস উইথ ডিসএবিলিটিস অ্যাক্ট থাকাকালীনও প্রচুর জাজমেন্ট তার ভিত্তিতে পাওয়া গেছে এবং সেগুলি বেশিরভাগই এমপ্লয়মেন্ট সেক্টর-এ। আরপিডি থেকে আরও একটু প্রগ্রেসিভ, বেসিক জাজমেন্ট পাব বলে আমি আশা করেছিলাম। আরও একটা বিষয়ে আমি বলতে চাই, আমাদের অ্যাকাডেমিক মহল সাধারণভাবেই ডিসএবিলিটি আনফ্রেন্ডলি, জেন্ডার আনফ্রেন্ডলি। অ্যাকাডেমিক সিস্টেম-টাই অত্যন্ত বৈষম্যমূলক।”

 

ডঃ অরুণ সরকার বনাম স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কেস-এ জাস্টিস মৌসুমি ভট্টাচার্য ৮ আগস্ট যে রায় দিয়েছেন সেখানে তিনি আরপিডি অ্যাক্ট ২০১৬-কে যেভাবে রায়দানে এনেছেন তা আপাতভাবে আশাব্যাঞ্জক। তিনি এই অ্যাক্ট-এর আওতায় প্রতিবন্ধকতা তথা ‘বেরিয়ার’-এর সংজ্ঞাকে ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া তিনি সাধারণভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি যে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তারই যে প্রতিফলন কলেজ কর্তৃপক্ষের আচরণেও ঘটেছে তাও উল্লেখ করেছেন। এই ধরনের মানসিকতাকে অস্বচ্ছ ও পিছিয়ে পড়া বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন তা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাধীনতা ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। তিনি উল্লেখ করেছেন, “The 2016 Act is a declaration of rights and opportunities to persons with disability. While the idea of freedom from the physical limitations germinated in the 1995 Act, in 2016 the focus shifts from protection of persons of disability to empowerment; recognition of limitations to removing barriers; the right to participation to affirmative action. In essence, the statute facilitates the movement of the community from the margins to the mainstream of opportunities.”

 

কর্মক্ষেত্রে, বিশেষত শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিক্ষক, অধ্যাপকদের যে ধরনের বৈষম্যের মুখোমুখি এখনও হয়ে যেতে হচ্ছে সে বিষয়ে এই কেসটি উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকছে। তবে নিশ্চিতভাবেই তাঁদের অধিকার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আইনিভাবে আরপিডি অ্যাক্ট, ২০১৬-এর আরও দৃঢ় প্রয়োগের দিকেই দৃষ্টি থাকবে।

 

Share this
Leave a Comment