পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অর্থনৈতিক যুক্তি, বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের ওঠাপড়ার অঙ্কের যুক্তির কাছে হার মেনেছে নারীর ক্ষমতায়ন, সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশের স্বপক্ষে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা রূপায়নের যুক্তি। যা আসলে আরেক ‘জুমলা’ বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। মোদী সরকারের এ আর এক মিথ্যার বেসাতি। লিখছেন দেবাশিস আইচ।
জ্বালানির কথা উঠতেই অসহায় শোনাল আন্ধারির গলা। বললেন, “এখন ধানগাড়া সিজনে তো কামাই নাই। ধানও গাড়তে হবে তার পর গ্যাস নিব না শাকসব্জি কিনব?” ফলত ঘরে ঘরে জোরকদমেই ফিরে এসেছে লকড়ি। মানে জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা জ্বালানির খড়ি কাঠ। অথচ প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা প্রকল্পের ‘ক্যাচ লাইন’টি ছিল চমৎকৃত করার মতোই, “স্বছ ইন্ধন, বেহতর জীবন।”
এমনি করে কথা পাড়লে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তাই খোলসা করেই বলা যাক। আন্ধারি চিলাপাতার আন্দু রাভা বনবস্তির এক ৪০ পেরনো মহিলা। সরকারি খাতায় অবশ্য বানিয়া বিটের এই বনবস্তিটির নতুন নাম হয়েছে ‘আন্দু বনচ্ছায়া’। শোনা যায়, এক উত্তরবঙ্গ সফরে বস্তি শব্দটিতে খারাপ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বসতি>বস্তি এখন বনচ্ছায়া। সে যতই বনের ছায়া বনজীবী, শ্রমজীবী মানুষের মাথার উপর থেকে দূরে দূরে সরে যাক। সে যাই হোক আমরা আন্ধারির অনেক জ্বালার মধ্যে জ্বালানির সমস্যায় ফিরি। তাঁর কথা ভেঙে ভেঙে দেখে নেওয়া যাক।
আন্ধারি রাভার চার বিঘা জমি। বৃষ্টি আর বানিয়া নদীর জলে বছরে এই একটাই চাষ। স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-বউমার অন্তত ছ’মাসের খোরাকির চাল আসে ওই জমি থেকে। জমি কাদো (কাদা) করা থেকে, হাল দেওয়া, রোয়া, গাড়া প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই পরিবারের সকলের সঙ্গেই তাঁকেও অনেক বেশি সময় ও শ্রম দিতে হয়। তো অন্য কামাই মানে কামলা খাটা মানে দিনমজুরি করে নগদ আয় করার সুযোগ যায় কমে। একে নগদ আয় কম, উলটে গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। গ্যাস কিনলে আর তেল, নুন, মশলা, শাক-সব্জি কেনার পয়সা থাকবে না। অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ কথা যখন হচ্ছে তখন গরিবের উজ্জ্বলা গ্যাসের জন্য আন্ধারিদের দিতে হয় ৯১০-২০ টাকা। যদিও গ্যাসের দাম সঠিক কত তা উপস্থিত কেউ বলতে পারলেন না। ৯১০-২০ থেকে ৯৫০-৬০ টাকা দাম উঠল। শুধু আন্দুতেই নয়, কুরমাই, কোদালবস্তি, বক্সার গারোবস্তি – না কোথা থেকেও গ্যাসের প্রকৃত দামটি জানা গেল না। অবশেষে সরকারি ওয়েবসাইট জানাল, অগস্ট মাসে আলিপুরদুয়ারে ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮৮৮ টাকা। কিন্তু, ডিসট্রিবিউটরের ঘর থকে গ্রাহকের ঘরে গ্যাস পৌঁছতে পৌঁছতে তা ৯১০ থেকে ৯৫০ যা খুশি হতে পারে। আন্দুর নোরাই রাভা জানালেন, “বাড়তি টাকা লাইনম্যানকে না দিলে গ্যাস নিজে গিয়ে আনতে হবে।” সে আর এক হ্যাপা। পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার দূরত্বের সোনাপুর খালপাড়া থেকে গ্যাস আসে চিলাপাতার আন্দু, কুরমাই, উত্তর ও দক্ষিণ মেন্দাবাড়ির বনবস্তিগুলোতে। ‘গ্যাসের বই’ অর্থাৎ, ডোমেস্টিক গ্যাস কনজিউমার কার্ডটিও দেখাতে পারলেন না কোদালবস্তির সাক্ষী লাকড়া। ভাবলাম দেখাতে চাইছেন না। সাক্ষী বললেন, “বই তো গ্যাসওয়ালাদের কাছে থাকে। ওরা গ্যাস নিয়ে আসে। আমরা খালিটা দিয়ে দিই ওরা টাকা নিয়ে ভর্তি দিয়ে যায়।“ অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। কোদালবস্তিরই রাভাপাড়ার বাসিন্দা মহেশ্বর আশ্বস্ত করে বললেন, “টেলিফোনে মেসেজ আসে।” মানে গ্যাসের দাম জমা পড়ে গেলে গ্রাহককে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। মনে মনে ভাবলাম, পার্টি অফিসে ভোটার কার্ড, সুপারভাইজারের কাছে জবকার্ড, রেশন ডিলারের কাছে রেশন কার্ডের যে নীতি চালু ছিল, এখন যা বহু গ্রামেই চালু, সেরকমই কি এই বিলি-বন্দোবস্ত? গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে গ্যাসের বই? এ প্রশ্নের জবাব গাঁয়ে বসে মেলার কথা নয় বলে অন্য কথা পাড়া গেল।
২০১৬ সালের ১ মে বেশ ঢাকঢোল বাজিয়েই শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় দেওয়া হয়েছিল প্রথম সংযোগ। পেট্রোলিয়াম ও ন্যাচারাল গ্যাস মন্ত্রকের অধীন এই যোজনাটি বিপিএল পরিবারের মহিলাদের জন্য। আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতে। বলা হয়েছিল, এর ফলে ৫ কোটি নাগরিক সরাসরি উপকৃত হবেন। প্রথম তিন বছরের জন্য ৮০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। উদ্দেশ্য, (১) দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি সাফসুতরো জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া। (২) কয়লা, কাঠ, ঘুঁটের জ্বালানি থেকে যে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে তাকে সরাসরি মোকাবিলা করা। (৩) কাঠ সংগ্রহ করার মতো শ্রমসাধ্য কাজ থেকে মহিলাদের মুক্তি দেওয়া। (৪ শিশু-সহ পরিবারের সকলের জন্য ধোয়াহীন বাড়ি। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে, যোজনাটির লক্ষ্য হচ্ছে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (গ্যাস সংযোগ মহিলাদের নামে), পরিশ্রম সাধ্য কাজ থেকে মুক্তি, এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া। ঠিক কাদের পাওয়ার কথা এই যোজনার সুযোগ? তফসিলি জাতি, আদিবাসী, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা এবং অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার অন্তর্ভুক্ত দারিদ্রসীমার নীচে থাকা নাগরিক, চা-বাগানের বর্তমান ও প্রাক্তন শ্রমিক, বনবাসী, দ্বীপে ও নদী দ্বীপে বসবাসকারী এমন ১০টি শ্রেণির নাগরিকরা। কেন্দ্রের ঘোষিত আরও একটি লক্ষ্য ছিল দেশে রান্নার গ্যাসের সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তি। প্রথম দফায় ২০২০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি পরিবার। ২২ অগস্ট ২০২১ পর্যন্ত ৮০,৬৯৯,৬৮৬টি পরিবারকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে উজ্জ্বলা যোজনার দ্বিতীয় দফা ওই একই সময় পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৭০৮,৬৬৪ পরিবারকে। প্রথম দফার মতোই গ্যাসের সংযোগ থেকে ওভেন দেওয়া হবে বিনামূল্যে এবং প্রথম্ বারের গ্যাসও ভরার জন্য দাম দিতে হবে না। এবার বিশেষ সুযোগ পাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার। সরকারি অনুদানের হিসেবটা এরকম : আর্থিক অনুদান – ১৬০০ টাকা ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য। ৮০০ টাকা ৫ কেজি সিলিন্ডারের জন্য। প্রেসার রেগুলেটর – ১৫০ টাকা। এলপিজি হোস – ১০০ টাকা। ডোমেস্টিক গ্যাস কনজুমার কার্ড – ২৫ টাকা। ইন্সপেকশন/ইন্সটলেশন/ ডেমনস্ট্রেশন চার্জ – ৭৫ টাকা। পাশাপাশি প্রথম রিফিল আর স্টোভ/হটপ্লেট আর ফ্রি কানেকশনের ডিপোজিটের ব্যবস্থা করবে অয়েল মার্কেটিং কোম্পানি (ওএমসি) মানে ইন্ডেন, ভারত গ্যাস, এইচপি।
এই বড় ভাবনাগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে অন্তত ডুয়ার্সের বনবস্তিগুলোতে। বিনি পয়সায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলে মানুষ নিয়ে নিয়েছেন। অরণ্য এলাকায় বনদপ্তরের তৈরি জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটিগুলো (জেএফএমসি) সে বিষয়ে উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু, ধারাবাহিক ভাবে গ্যাসের দাম বাড়তে শুরু করায় – বিশেষ ভাবে বিগত এক বছর – প্রায় প্রতিজন গ্রাহক ফিরে গিয়েছেন খড়িকাঠে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভর্তুকি ঠেকেছে শূন্যে। আর গত একমাসে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। সেপ্টেম্বরে চা-বাগান ও বনবস্তি অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৩ টাকায়। দূর বাগান কিংবা বনবস্তিতে পৌঁছতে পৌঁছতে তা প্রায় হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলবে। যা আন্ধারি, পাত্তি রাভা কিংবা সজনা গোয়ালা, তারাতি ওঁরাওদের চার-সাড়ে চার দিনের কামলা খাটার রোজগার। সজনাদের দুটো সিলিন্ডার। একটি বৃদ্ধা শাশুড়ির নামে অন্যটি সজনার নামে। গ্যাসের কথা উঠতেই বৃদ্ধা নিয়ে গিয়ে দেখালেন তার সাবেক কাঁচা রান্নাঘরটির দুটো মাটির উনুনে কাঠ গোঁজা, একটিতে একটি কড়াই চাপানো। তাঁর নামের সিলিন্ডারটি দীর্ঘ কয়েক মাস রিফিল করা হয়নি। সজনা অবশ্য গ্যাস জ্বালিয়ে চা খাওয়ালেন। এই রান্নাঘরটি পাকা, মূল বাড়ির মধ্যেই। ওভেনে তখনও একটি কড়াইয়ে রান্না করা সামান্য সব্জি রয়েছে। সজনার স্বামী চার হাজার টাকার ঠিকা বনকর্মী। শ্বশুর হরিনন্দন প্রায় সারাটি দিনই কতগুলো রোগাসোগা, দুর্বল প্রকৃতির ছাগল চড়িয়ে বেড়ান। সামান্যই জমি আছে। চাষবাস করেন।
এই কাঠের জ্বালানি থেকে ক্রনিক ফুসফুসের রোগ, ডাক্তারি পরিভাষায় যা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি্, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা দেয়। আর তার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নাকি উজ্জ্বলার আমদানি।
বিশেষজ্ঞদের গবেষণার উল্লেখ করে বলা হয়েছে ২০১৬ সালে ফসিল ফুয়েলের দূষণে ভারতে পাঁচ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রান্নাঘরে একঘণ্টা উনুনের খোলা আগুন জ্বলা মানে চার হাজার সিগারেটের খাওয়ার সমান। তো এইসব কারণেই দেশব্যাপী রান্নার গ্যাসের সর্বজনীনতার সিদ্ধান্ত। যা মহিলাদের ক্ষমতায়ন ঘটাবে, স্বাস্থ্য রক্ষা করবে। উজ্জ্বলা যোজনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গাল্ভরা সরকারি বিবৃতিতে কোনও ফাঁক নেই। মস্তবড় ফাঁকিটা রয়েছে তার রূপায়নে। এই সরকারি বিবৃতিতে ভয়ের যে চিত্র তার চেয়ে ঢের ভয়াবহ ছবি মিলবে ২০২১ সালের জুন মাসে প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতে জৈব ইন্ধন থেকে পিএম২.৫ মাত্রার আবাসিক দূষণ নিঃসরণ দেশে মোট অশ্মীভূত (কয়লা, কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল) ও জৈব (কাঠ, ঘুঁটে) জ্বালানি্র চারভাগের একভাগ বা ২৫.৭%। শিল্পে তা ১৪.৮%, কয়লা, বিদ্যুৎ, তেল প্রভৃতি এনার্জি সেক্টরে ১২.৫%, কৃষিতে ৯.৪% এবং পরিবহনে ৬.৭%। ২০১৭ ও ২০১৯-এই মাত্রার প্রায় কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। গবেষকরা হিসেব কষে দেখিয়েছেন ফসিল ও বায়োফুয়েলের দূষণের অভিঘাতে ২০১৭ সালে ৮.৬৬ লক্ষ এবং ২০১৯ সালে ৯.৫৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কয়লাই সবচেয়ে বেশি দূষণের কারণ। ২০১৬ সালে ‘বেহতর জীবন’-এর স্বপ্ন দেখিয়ে যে যোজনার শুরু তা যে ২০১৯ সালেও রান্নাঘরের দূষণে কোনও প্রভাব ফেলেনি এই গবেষণাই তার প্রমাণ। অতিমারির আর্থিক অনটনের কারণে এবং জ্বালানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকায় তা বেড়ে উঠলে অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই। সত্যি কথা বলতে গেলে কি, বনবস্তিগুলিতে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ গৃহস্থালিতে সংযোগ থাকলেও তাঁরা কোনওদিনই গ্যাসের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে ওঠেননি। সব্জি, চা, ভাজাভুজিতে গ্যাস ব্যবহার হলেও দু’বেলার ভাত কাঠের উনুনেই চাপে। আর তাছাড়া শীতে জল গরম, গা সেঁকা, ধান সিদ্ধ করা, হাড়িয়া কিংবা চকোত তৈরি – গ্যাস জ্বালিয়ে হয় না। ফলত কাঠের ব্যবহারের, অর্থাৎ জঙ্গল থেকে জ্বালানি সংগ্রহের ‘শ্রমসাধ্য’ কাজটি থেকে মহিলাদের বলার মতো কোনও মুক্তি ঘটেনি। বনবস্তির যে কোনও বাড়িতে গেলেই দেখা যাবে সারা বছরের জন্য মাচার নীচে অন্তত তিন পিল (এক পিল হচ্ছে, আড়াই ফুট খড়ি কাঠের পাঁচ ফুট বাই চার ফুটের স্তূপ) জ্বালানি কাঠ মজুত রয়েছে।
দেখেশুনে মনে হয় প্রকৃতই দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য নির্দিষ্ট যোজনাটির নামে কেন্দ্রীয় সরকার যেন একরকম মহাজনি ব্যবসায় নেমেছে। বর্তমানে দারিদ্রসীমার নীচে কত মানূষ, অতিমারিতে আরও কত মানুষ কাজ হারিয়ে গরিব হয়ে পড়েছেন – কেন্দ্র জানিয়েছে এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। কিন্তু তারা বিলক্ষণ জানে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা। নাহলে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় বিনামূল্যে রেশন, ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে তিনবার গ্যাস রিফিলের ব্যবস্থা সরকার কেন করতে যাবে? আবার ওই ২০২০ সাল থেকেই ভরতুকি কমতে কমতে ২০২১-এ এসে শূন্যে ঠেকেছে। আর তারই সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অর্থনৈতিক যুক্তি, বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের ওঠাপড়ার অঙ্কের যুক্তির কাছে হার মেনেছে নারীর ক্ষমতায়ন, সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশের স্বপক্ষে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা রূপায়নের যুক্তি। যা আসলে আরেক ‘জুমলা’ বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। মোদী সরকারের এ আর এক মিথ্যার বেসাতি।
তথ্য সহ লেখাটিতে সমৃদ্ধ হলাম।