গ্রাউন্ডজিরো
স্প্যানিশ ছবি ‘নভিয়েম্ব্রে’-র মূল চরিত্র একগুঁয়ে পথশিল্পী আলফ্রেদো চেয়েছিল নিজের স্বপ্ন, শিল্প, মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে। সেই চাওয়ার কাছে পুলিশের গুলি কিছু না।
৫ ফেব্রুয়ারি চিলের সান্তিয়াগোর পাঙ্গিপুয়ীতে পুলিশের হাতে খুন হলেন এক স্ট্রিট জাগলার। ২৭ বছরের ফ্রান্সিস্কো মার্তিনেজ রাস্তায় খেলা দেখাতেন। একটি ‘রুটিন’ পুলিশি তদারকি চলাকালীন পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকার করে তর্কে জড়িয়ে পড়ায় এক পুলিশ অফিসার তাঁকে গুলি করেন। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিগত কয়েকদিনে বারবার চিলের মানুষ পথে নেমেছেন, সোশাল মিডিয়ায় বক্তব্য রেখেছেন। আগুন জ্বলেছে পাঙ্গিপুয়ী পুরসভায়, পুলিশের গাড়িতে – সরকারি তরফে অপরাধী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নিন্দা ও বিচারের প্রতিশ্রুতি প্রচার করা সত্ত্বেও। কারণ এ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র নয়।
গত কয়েক বছর ধরে চিলেতে সরকারি নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থান হয়ে চলেছে। প্রতিবাদ নানান পরিকাঠামো, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের তীব্র সঙ্কট নিয়ে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সার্ভে অনুযায়ী চিলেতে সাধারণ মানুষের আয়ের তিনের চার ভাগ খরচা হয়ে যায় ঋণ শুধতে। আন্দোলনের উপর বারবার নেমে এসেছে পুলিশি অত্যাচার। গত বছর প্রতিবাদে পথে নেমে মারা যান ২০ জন, আহত হন হাজারে হাজারে, রাবার বুলেটের আঘাতে অন্ধও হয়েছেন একাধিক মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। শেষে, ১৯৯০ সালে ক্ষমতাচ্যুত ডিক্টেটর জেনারেল পিনোচেতের সময় থেকে চলে আসছে যে সংবিধান, ২০২০-র অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ ৭৮ শতাংশ গণভোট অনুযায়ী, তার সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্তিনেজদের মতো নাগরিকদের হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে কি পিনোচেতের সময় থেকে চলে আসা পুলিশি ব্যবস্থারও সংস্কারের পথে যেতে বাধ্য হবে চিলে সরকার?
Las y los artistas callejeros en Chile despiden a Francisco, el malabarista asesinado en Panguipulli por Carabineros @teleSURtv pic.twitter.com/4R7UyPQiqL
— Paola Dragnic (@PaoladrateleSUR) February 7, 2021
(চিলের পথশিল্পীরা পাঙ্গিপুয়ীতে পুলিশের হাতে নিহত জাগলার ফ্রান্সিস্কোকে শেষ বিদায় জানাচ্ছে।)