কোভিড ও প্রতিবন্ধী মানুষের একটি পরিবার


  • October 22, 2020
  • (1 Comments)
  • 2548 Views

করোনা ভাইরাস আমার জীবনদর্শন সম্পূর্ণ পাল্টে দিলো। মানুষের স্বার্থপর ঘৃণ্য কুক্ষিগত মনোবৃত্তিকে উলঙ্গ করে তুলে ধরলো। লিখেছেন বহ্নি ভট্টাচার্য মন্ডল

 

না, রূপসা আমাকে জিজ্ঞাসা করে না “তারপর?”

 

১৮ মার্চ ২০২০। হ্যাঁ এই দিনটা আমাদের সবার জীবনে এক আশ্চর্য পরিবর্তনের দিন। সেই দিন থেকে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্দী। আমি ও আমার মেয়ে যাদের পায়ে সর্ষে লাগানো, থমকে গেলো চেনা জীবন। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা আমরা আর কোথাও না ঘুরতে গেলেও বাজারে যেতাম‌ই। এই অভ্যাসটা রূপসার ছোট থেকেই করিয়েছিলাম। রূপসা আমার মেয়ে, অটিস্টিক। অটিজম সম্পর্কে একটা তথ্য হল – এদের কমিউনিকেশনের একটা বিরাট সমস্যা থাকে। খুব ছোট ছিল যখন ও একটা মনতেসরি স্কুলে ঘণ্টা খানেকের জন্য থাকতো, তার বেশী রাখতে তারা রাজি ছিলেন না, যদিও ওইটুকু যে ওনারা রাখতেন এটাই অনেক ছিল, কারণ সে সময় আসলে অটিজম নিয়ে কোনো সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। সত্যি বলছি আমি নিজেও প্রথম দিকে কিছু বুঝতাম না তো অন্যদের কি বোঝাবো? সেই সময় যখন ডাক্তার-থেরাপিস্ট সবাই বলেন যে বাচ্চাকে মানুষজনের সাথে মেশানোর চেষ্টা করতে, তখন নিউক্লিয়ার পরিবারে সে সুযোগ ছিল না। তাই আমি ঠিক করেছিলাম রোজ ওকে নিয়ে একটু বাজারে বেরোবো। সেই শুরু। এরপর করোনা মহামারি আর লকডাউনের আগে পর্যন্ত এতদিন অবধি অন্য কোনো কাজ না থাকলে আমাদের রুটিনে বাজার যাওয়া ছিল নির্দিষ্ট। কিন্তু ওই এক দিনের মধ্যে সব বন্ধ হয়ে গেল। একজন অটিজম স্পেকট্রামে থাকা মানুষের জন্য এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যে কতখানি শক্ত তা আমাদের মতো প্রতিবন্ধী মানুষদের পরিবার ও যারা এদের সঙ্গে কাজ করেন হৃদয় দিয়ে, তারাই খালি জানেন। একদিনের মধ্যে ওর আঁকার ক্লাস, ফেব্রিকের কাজ, আমার সাথে সেন্টার যাওয়া সব সব বন্ধ হয়ে গেলো। কেমন থমকে গেলো ওর জীবনচক্র।

 

আমার আশেপাশের সব মানুষের এক‌ই অবস্থা। কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আমার স্বামী ব্যবসা সূত্রে অন্যত্র থাকেন। তিনিও তার ব্যবসা বন্ধ করে চলে এলেন। সরকারের তরফ থেকে আমরা কোনো রকম খবর পাইনি। ‌মিডিয়া, সোশাল মিডিয়ার খবর সব মিলেমিশে সাধারণ মানুষ উদ্ভ্রান্ত। কেউ খাবার মজুত করছেন, কেউ কিভাবে ছুটি উপভোগ করবেন তার পরিকল্পনা করছেন। বাজার অগ্নিমূল্য। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। রাতারাতি জিনিসের দাম তিন/চার গুণ। এই দিশাহারা পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ১৩৫ কোটির দেশে চার ঘন্টার ঘোষণায় জারি করল দেশব্যাপী অপরিকল্পিত লকডাউন। এরপরের ঘটনা আমাদের সকলের জানা। অভুক্ত মানুষদের সেই বাড়ি ফেরার আর্তি, দিনের পর দিন হাজারে হাজারে মানুষের পথ চলা, মৃত্যু, হাহাকার।

 

এই সাত আট মাসে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আমি আমার ঘরের কথা বলতে পারি। আমার স্বামীর ব্যবসা এই কয়েকমাস বন্ধ। কি ভাবে আমাদের চলছে সে প্রসঙ্গ বাদ দিলাম। আমার দুই গৃহ সহকারিণীর একজনের আমার বাড়ী ছাড়া সব বাড়ীর কাজ চলে গেছে। আর একজনের আরো চার বাড়ীর মধ্যে দুই বাড়ীর কাজ চলে গেছে। কেউ হয়তো বিশ্বাস করবেন না…. আমারও তাদের রাখার মতো অবস্থা আক্ষরিক অর্থেই নেই, তবু জানি এই পরিস্থিতিতে কারওর কাজ চলে গেলে কেমন হয়, তাই কখনওই ওনাদের চাকরিতে না রাখার কথা ভাবতে পারিনি, গত সাত মাসে। ওনাদের প্রতি আমার ভালবাসার আর একটি বিশেষ কারণ আমার মেয়েকে ওরা ভীষণ ভালোবাসেন, বিনা স্বার্থে।

 

মার্চ মাস থেকে এভাবেই চলছিলো আমাদের দিন। আমার বৃদ্ধ বাবা আমাদের সাথেই থাকেন। তিনি সিওপিডি-র রোগী। আমার স্বামীই সব দোকানবাজার করছিলেন। বাবাকে আমাদের কড়া নিষেধ ছিল বাড়ীর বাইরে না বেরোনোর। অদ্ভুতভাবে রূপসা কেন জানি না একদম বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিলো। রাতে আমি প্রথম দিকে তিন-চার দিন হাঁটতে বেরিয়েছিলাম, রূপসা কিন্তু আমার সাথে যেতে রাজি হলো না। আসলে ওর একটা নিজস্ব ঘড়ি আছে, রুটিন আছে, যেটা মেনে চলতেই ও ভালোবাসে। এই লকডাউনে ও তারপর গালভরা আনলকে ওর সব গুলিয়ে গেছে। যে বাবাকে ও কোনোদিন বাড়িতে আমি অসুস্থ না হলে দুদিন থাকতে দেখে না, তাকে মাসের পর মাস দেখছে বাড়ীতে বসা। আসলে আমরা সমসময় এই অটিস্টিক মানুষদের চিন্তার গভীরে প্রবেশ করতে অপারগ। এভাবেই গড়িয়ে যাচ্ছিলো দিন। প্রতিটি দিন আশঙ্কা নিয়ে বেঁচে থাকা। আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আর বাবা পাশে না থাকলে আরো কঠিন হতো আমাদের লড়াই।

 

এরমধ্যে এলো ৬ সেপ্টেম্বর। বেলা ১২টা পাঁচ/দশ। বাবার হঠাৎ কাঁপুনি শুরু হলো। আমরা অক্সিমিটারে কিছুতেই রিডিং নিতে পারছিলাম না। কোনো রকমে বাবাকে নিয়ে সঙ্গেসঙ্গে আমার স্বামী আমাদের বাড়ীর সামনেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলেন। সেখানে বলা হলো বাবার কোভিড সিম্টম, ওই হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে না। আমার এক পরিচিত ব্যবস্থা করলেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ভর্তি করা হলো। পরেরদিন রিপোর্ট এলো কোভিড নেগেটিভ। অক্সিজেন চলছিলো। হাসপাতাল থেকে দুদিন বাদে বলা হলো, আর অক্সিজেন দেওয়ার দরকার নেই। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯২/৯৩। আবার ১১ সেপ্টেম্বর টেস্ট হলো। এবার রিপোর্ট পজিটিভ। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের বারবার অনুরোধ করি যতদিন দরকার রাখুন ও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা দিন। আমাদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ১৫ সেপ্টেম্বর ডাক্তার ছেড়ে দিলেন। বললেন “উনি ঠিক আছেন, এরপর টুকু বাড়ী থেকেই করা যাবে”। বাবাকে বাড়ি আনলাম। পরের দিন থেকে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন আমরা কী করবো ঠিক করতে পারি না। যে হাসপাতালে উনি ভর্তি ছিলেন সেখানের ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বললেন “ও কিছু না”। পরের দিন সকালে বাবাকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে বলা হয় ওনার লাঙ প্যাটার্ন পুরো বদলে গেছে। আমার বাবা ভেন্টিলেশন সাপোর্টে চলে যান।

 

এদিকে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই আমার কাশি, লাঙ ইনফেকশন শুরু হয়। সাথে জ্বর। আমি সন্দেহ করি বোধহয় আমিও কোভিড আক্রান্ত হলাম। বাবাকে নিয়ে যে ঝড় যাচ্ছিল, আমি নিজেই অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করি। কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর আমার স্পুটামের সাথে রক্ত আসে। আমি তার আগেই আমার গৃহকর্মের সহকারীদের আসা বন্ধ করে দিয়েছিলাম ও যতোটা সম্ভব আইসোলেটেড হয়েছিলাম। ২০ সেপ্টেম্বর আমার এই অবস্থার পর ওইদিন‌ই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করি। উনি কোভিড টেস্ট দেন। পরেরদিন টেস্ট ও তারপর দিন রিপোর্ট এলো…… আমরা তিনজন‌ই পজিটিভ।

 

সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়িতেই থাকবো। যদিও আমরা যে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করি, তিনি আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন কারণ আমার এস্থমা, ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার আছে। কিন্তু আমরা অনলাইন ডাক্তার পরামর্শ করে বাড়ীতে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। কেউ হয়তো বিশ্বাস করবেন না, তিনজন নামী ডাক্তারেরের সাথে দুদিনে পরামর্শ করি। তিনজন তিন রকম ‘সাজেশন’ দেন। কারো সাথে কারো মিল নেই। ২৩ সেপ্টেম্বর রাত থেকে আমার ও আমার স্বামীর প্লালস রেট ১৪০/১৪৫। খুবই  শরীর খারাপ। স্বামী হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী। আমার একটু ভয় ভয় লাগতে শুরু করে। এরমধ্যে আমার বাবার সময় বা আমাদের সময় স্বাস্থ্য ভবন থেকে একটা ফোন করেছিলো। পুরসভা বা কাউন্সিলর কোনো খোঁজ করেননি। আমরা নিজেরা সম্পূর্ণ কোয়ানেন্টাইনে গেছিলাম। আমার ছেলের মতো, যার কাছে আমার গাড়ী থাকে, ওই সব এনে দিচ্ছিলো।

 

২৫ সেপ্টেম্বর সকালে আমি স্বাস্থ্য দপ্তরে ফোন করি যদি আমাদের এক‌ই জায়গায় ভর্তি করা যায়। ওখান থেকে বলা হয় এক জায়গায় হবে না, আলাদা জায়গায় থাকতে হবে। আমি ওনাদের বোঝাতে পারিনি আমার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়েকে আলাদা রাখতে পারবো না। ২৫ তারিখ রাত্রিসাড়ে দশটা নাগাদ আমার স্বামী অজ্ঞান হয়ে যান। আমি অসহায় অবস্থায় আমার এক ভাইকে ফোন করি, কোথাও আমাদের ভর্তি করার জন্য। আমার সেই ভাই ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি তিনটে বেড। আমি আমার এই ভাইয়ের ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না। একটা ওয়ার্ডে তিনটে বেড। আরো দুজন রোগী ছিলেন। মেয়ে আমাদের সাথে অকল্পনীয় সহায়তা করেছে। হাতে চ্যানেল করা থেকে সব। সাড়ে পাঁচ ঘন্টা আমাদের পাশের বেডের পাশে একটি মৃতদেহ পড়েছিলো। এই কয়েক ঘন্টায় রূপসার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। ও ভয়ে আমার হাত ধরে বসে ছিল। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি আমি বোঝাতে পারবো না। শেষ পর্যন্ত আবারও আমার সেই ভাইকেই ফোন করতে বাধ্য হই। ওর যোগাযোগ সেই মৃতদেহ সরানোর পর ধীরে ধীরে আমার মেয়ে ভয় কাটাতে পারে।

 

২ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ফিরি তিনজনে। বিধ্বস্ত অবস্থায়। নড়ার ক্ষমতা নেই। জলটুকু নিজেরা নেওয়ার অবস্থা নেই। তিনটি প্রাণী একা এক দ্বীপে। ওই ভাই ও তার স্ত্রী ছাড়া আমাদের পরিস্থিতি বোঝার মতো কেউ ছিল না। আমি কাউকে বলি নি। তার কারণ আমার বাবা যখন অসুস্থ হলেন আমার আবাসনের একটি মানুষ ও জিজ্ঞাসা করেনি উনি কেমন আছেন। অথচ এই আবাসনের এমন একটি পরিবার নেই যাদের বিপদে আমি ও আমার বাবা পাশে দাঁড়াইনি। যারা জেনেছিলেন আমাদের এই পরিস্থিতির কথা, তারাও খুবই গা ছাড়া খবর নিয়েছেন। সামাজিক দূরত্বের প্রচার কতটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে পারে, এ বোধহয় তার প্রমাণ, যখন প্রতিবেশীর বিপদেও প্রতিবেশি খোঁজ নেন না। রোগ নিয়ে এই সামাজিক ছুঁৎমার্গ পীড়াদায়ক।

 

আমার বাবা ২৯ সেপ্টেম্বর চলে গেছেন। আমি আমার বাবাকে শেষ দেখাও দেখতে পারিনি। আমরাও যে তখন হাসপাতালে।  আমার ছেলেটি শুধু দুটো ছবি তুলে পাঠিয়েছিলো। ওই আমার বাবাকে শেষ দেখা। আমার এই ছেলেটা আমাদের জন্য যা করেছে ও এখনো করছে তা ভাবনারও অতীত। মানবিকতা, মানুষ হওয়া হয়তো একেই বলে। আর বলতে হয় আমার রান্নার সহকারীর কথা। উনি না থাকলে আমরা এ ক’দিন না খেয়েই বোধহয় মরে যেতাম।

 

শেষ করি আবার রূপসার কথা দিয়ে। কারণ আমার সব পরিচিতি ওর জন্য। আমি – রূপসা, একজন প্রাপ্তবয়স্ক অটিস্টিক মেয়ের মা। এই ভয়াবহ ঝড় কিন্তু ওর উপরে আমাদের থেকেও বেশী ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করেছে। ও ওর সঙ্গী, জন্ম থেকে যার কাছে ওর সব আবদার, তাকে হারিয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বরই ও কিন্তু বুঝতে পেরেছিল। যত‌ই আমরা ওকে না বুঝতে দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি এক ফোঁটা চোখের জল ফেলতে পারিনি, ও কষ্ট পাবে বলে। বিশ্বাস করুন….. এটাই আমাদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষজনের পরিবার। যেখানে অগ্রাধিকার আমার সন্তান। যারা এদের পরিবারের মানুষজন ও আবার বলছি, যারা হৃদয় দিয়ে এদের সাথে কাজ করেন  তারা ছাড়া কেউ এটা বুঝতে পারবেন না। যত‌ই এদের সাথে কাজ করুন। আমরা হলাম ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা।

 

আজ কয়েকদিন হলো রূপসাকে আমি ওর দাদা (আমার বাবাকে ও তাই ডাকে) -র কথা বলেছি। তারপর থেকে ও বারবার কান্নাকাটি করছে। ওকে আমরা বোঝাচ্ছি ও যে ত্রিভুজ এর মধ্যে সুরক্ষিত ছিল, তা আজ গোলাকার ধারণ করেছে। আর ওর চারিধারে সুরক্ষা বলয় তৈরী করে রাখবে যতদিন তারা বেঁচে থাকবে আর পারবে।

 

করোনা ভাইরাস আমার জীবনদর্শন সম্পূর্ণ পাল্টে দিলো। মানুষের স্বার্থপর ঘৃণ্য কুক্ষিগত মনোবৃত্তিকে উলঙ্গ করে তুলে ধরলো। যখন রূপসাকে আশ্বাস দিচ্ছি আমরা আছি, তখন মনে মনে শিউরে উঠছি….ওই আমার লেখা যে লাইন দিয়ে শুরু করেছিলাম সেটা ভেবে – ‘না, রূপসা আমায় জিজ্ঞাসা করে না – তারপর?’

 

  • লেখিকা প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের কর্মী।

 

 

  • Feature Image Courtesy : indianexpress.com

 

Share this
Recent Comments
1
  • comments
    By: Sunipa Sinha Roy on October 22, 2020

    My deepest condolences for Rupsa’s dada.
    I can fully empathize with you, knowing you and Rupsa so well. You have so well written and expressed what you have gone through. May you get the strength to tide over this situation.
    When will they (public and govt) ever learn? When will they ever learn?from Bob Dylan’s song

Leave a Comment