দেশজোড়া লকডাউন : আমাদের দাবিপত্র


  • March 26, 2020
  • (4 Comments)
  • 2535 Views

কোভিড-১৯ সিরিজ

 

শুরু হয়ে গেছে ২১ দিনের লকডাউন। শ্রমজীবী মানুষদের কাজ নেই, থাকার জায়গা নেই, ঘরে ফেরার ট্রেন নেই, তার উপর জুটছে পুলিশের লাঠি। এই কঠিন সময়ে এন আর সি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছে সরকার। দেশের মানুষ যখন সরকারের থেকে আর্থিক সাহায্য আশা করছে, তখন মোদি সরকার নতুন পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন ও রাষ্ট্রপতি ভবনের সংস্কারের জন্য ২০,০০০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। একটি মহল থেকে সুপরিকল্পিত ভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে এখন রাজনীতির সময় নয়। সেই সুবিধাবাদী প্রচারের পুরোপুরি বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একজন সহনাগরিক হিসেবে এই সময় নিয়ে লিখলেন সুমন কল্যাণ মৌলিক। 

 

“প্রথমে জনতা কার্ফু, তারপর তিন সপ্তাহ ধরে সারা দেশে লকডাউন। করোনা আতঙ্কে সারা দেশ থরহরিকম্প। একথা অনস্বীকার্য যে করোনা যেভাবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ভারতের মতো জনবহুল দেশে তা অতিমারীর রূপ নিতে পারে। আর তা থেকে বাঁচতে লকডাউন একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা, যদিও তা একমাত্র পন্থা নয়। সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা যেমন জরুরী তেমনি দরকার লকডাউনের উদ্দেশ্যকে সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা। আর সেক্ষেত্রে প্রধান দায় অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও একথা সত্যি যে জনতা কার্ফুর আগে ও গতকাল লকডাউনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে যে দুটি ভাষণ দিয়েছেন তাতে আমরা নিছক বক্তিমে ছাড়া আর কিছুই পাইনি। তাই একজন সহনাগরিক হিসাবে আমাদের উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, আশঙ্কা ও দাবিকে উপস্থিত করতে এই নিবন্ধের অবতারণা।”

 

করোনা নিয়ে চারদিকে যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে তার সবচেয়ে বড় কারণ আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা। স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক থেকে পৃথিবীতে আমাদের স্থান ১৪২ তম। তাই যদি গোষ্ঠীগত সংক্রমণ হয় তাহলে বেশিরভাগ মানুষ প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। আর যেহেতু পয়সা থাকলে চিকিৎসা কিনে নেবো – এই আপ্তবাক্য করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী নয়, তাই সেই অতিমারীর থেকে গরীব বা বড়লোক কেউ রক্ষা পাবে না। করোনা মোকাবিলায় সরকার আন্তরিক নয় একথা আমি বলছি না কিন্তু প্রতিরোধের প্রশ্নে বিগত তিন মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

 

প্রথমত: WHO থেকে ডিসেম্বর মাসেই করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য দেওয়া হয় এবং জানুয়ারি মাসে আসে প্রথম সতর্কবার্তা। তখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। যদি তখন থেকেই পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট যেমন মাস্ক, হাত ধোয়ার সাবান, স্যানিটাইজার, কভার অল স্যুট যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করা হতো ও সরকার একটা সঠিক বণ্টন ব্যবস্থা লাগু করতো তাহলে সংকট দেখা যেতো না।

 

বাস্তবে যেটা হলো, চাহিদা বেড়ে যাওয়া মাত্র ৫ টাকা দামের মাস্ক বাজারে ২৫ টাকা দরে, ২০০ মিলি স্যানিটাইজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে লাগলো। এমনকি রপ্তানি পর্যন্ত বন্ধ করা হয়নি।

 

 

দ্বিতীয়ত: একথা সবার জানা যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভাষণ নয়, করোনা প্রতিরোধে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য ও সাফাই কর্মীরা। তাই তাঁদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন বিশেষ ধরনের পোশাক (কভার অল স্যুট)। আজ একথা সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে সবাই জেনে গেছে, যে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক একমাস ধরে বসে থেকেছে কিন্তু পোশাক তৈরির ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। এই সীমাহীন অপদার্থতার দায় কে নেবে?

 

তৃতীয়ত: উপর্যুপরি সরকার যেভাবে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ কমিয়েছে, যেভাবে সরকার চিকিৎসার খাতে রাষ্ট্রের দায় অস্বীকার করে তাকে বীমানির্ভর পণ্যে রূপান্তরিত করেছে সেখানে গণ-স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার (যেমন ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা) তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করার জন্য যে টাকার সংস্থান করার দরকার ছিল কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি।

 

চতুর্থত: কে করোনা আক্রান্ত তা বোঝার জন্য যথোপযুক্ত কিটের সাহায্যে রক্তপরীক্ষা করা দরকার। এক্ষেত্রেও বিষয়টা গোলমেলে। এই বিশাল দেশে একমাত্র নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ মোহল কার্তিকেয় সারাভাই-এর ‘কোসারা ডায়াগনস্টিক কোম্পানি’-কে কোভিড ১৯ এর জন্য টেস্টিং কিট সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে এরাই USFDA এবং EU অনুমোদিত টেস্টিং কিট সরবরাহ করতে পারবে। অথচ বরাত দেওয়া হয়নি পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির মতো সরকারি সংস্থাকে। এযেন অনেকটা হ্যাল-এর মতো সরকারি সংস্থাকে বাদ দিয়ে অনিল আম্বানির মতো দেউলিয়া সংস্থাকে রাফাল বিমান তৈরির বরাত দেওয়া। কোসারা একদিনে মাত্র ১০ হাজার কিট তৈরি করে

 

পঞ্চমত: সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রের অপ্রতুলতার কারণে ভারত সরকার গুটিকয়েক বেসরকারি ল্যাবকে করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সেই টেস্টের খরচ স্থির করা হয়েছে ৪,৫০০ টাকা। এই দাম দিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা কি গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব? অথচ ইরান, চীন, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করছে।

 

শুধু উপরিউক্ত বিষয়গুলি নয়, একই সঙ্গে আমাদের প্রশ্ন যেহেতু করোনা সংক্রমণ বিদেশ থেকে এসেছে তাহলে বারংবার বলা সত্বেও ২২শে মার্চ পর্যন্ত বিদেশের বিমানগুলিকে ভারতে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হলো কেন? বিদেশাগত যাত্রীদের উপদেশ দেওয়া হলো তারা যেন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী থাকেন। কেন তাদের সরকারি নজরদারিতে বাধ্যতামূলক অন্তরীণ করা হলো না? গত ১৫ দিন ধরে ট্রেনে বহু লোক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেছে কিন্তু ভারতীয় রেল স্টেশনগুলিতে পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা রাখেনি।

 

 

এবার আসা যাক লকডাউনের প্রশ্নটিতে যা বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথমেই এটা পরিষ্কার ভাবে বলে নেওয়া ভালো যে আম্বানি, আদানি বা বলিউডি চিত্রতারকাদের কাছে লকডাউনের যা অর্থ, একজন ঠিকা শ্রমিক বা সিকিউরিটি গার্ড বা গৃহপরিচারিকার কাছে তা নয়। ভারতে ৪০ কোটি লোক অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত এবং এদের বেশিরভাগটাই দিন মজুরিতে জীবন চালান। এই ৪০ কোটি মানুষ ও তাদের ওপর ভরসা করে বেঁচে থাকা পরিবারের দরকার টাকা যা দিয়ে তাদের পেট চলবে। এদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা না করলে এ মানুষদের ঘরের মধ্যে রাখা অসম্ভব। কদিন ধরে দেখছি টিভিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা অসুস্থ বোধ করছেন তারা বাড়িতে আলাদা ঘরে থাকুন। আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করুন। কিন্তু এই বিশেষজ্ঞদের কে বোঝাবে যে ভারতের ৭০ শতাংশ পরিবার দেড়খানা ঘরে বাস করে এবং এদের অনেকেরই একটা ব্যক্তিগত শৌচাগার পর্যন্ত নেই। আর এই শ্রমজীবী মানুষদের আর্থিক সহযোগিতা করতে আমাদের তো টাকার অভাব হওয়ার কথা নয়। এদেশে অসাধু কর্পোরেট সংস্থাগুলির লুটের কারণে ইয়েস ব্যাঙ্কের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলে সরকারি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ১১,৭৬০ কোটি টাকা ঢালতে পারে। আবাসন কর্তাদের সংকট বাঁচাতে ২৫,০০০ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড তৈরি হয়। আর্থিক মন্দার সময় কর্পোরেট বেনিয়াদের লাভের অঙ্ক যাতে না কমে তার জন্য ৬১,০০০ কোটি টাকা কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়।

 

তাহলে আজ এই বিপন্ন সময়ে লকডাউন চলাকালীন আগামী একমাস সরকার কেন এই শ্রমজীবীদের জন্য মাসিক ১২,০০০ টাকা এবং বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করবেন না!

 

১ লা ফেব্রুয়ারি ২০২০-এর তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্রের হাতে এখন ৭.৫ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। সেই খাদ্যশস্যের একটা অংশ ব্যবহার করেই গরীব মানুষকে আগামী দু’মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়া সম্ভব। আর শুধু জিএসটি এবং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ণের দিন বাড়ালেই চলবে না একইসঙ্গে ব্যাঙ্ক এবং নব-ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলি থেকে যারা বিভিন্ন ঋণ নিয়েছেন তাদের কিস্তি দানের সময়সীমাকে বাড়াতে হবে। এর আগে নোটবন্দীর সময় দেখা গেছে আর্থিক সংকটের দায় ঝেড়ে ফেলতে নোটবন্দীর অব্যবহিত পরেই হাজার হাজার মানুষের চাকরি খেয়ে নিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। এবারও সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। হিসাবটা খুব সোজা। এতদিন কর্পোরেটদের সংকট উদ্ধারের জন্য দেশের মানুষের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। আজ করোনার মোকাবিলার জন্য দেশের সম্পদশালীদের উপর আপৎকালীন ট্যাক্স বসাক সরকার, এবং সেই আয় থেকে আলাদা ফান্ড করা হোক করোনা মোকাবিলার জন্য।

 

 

একটি মহল থেকে সুপরিকল্পিত ভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে এখন রাজনীতির সময় নয়। কিন্তু এই কঠিন সময়ে এনআরসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছে সরকার। এই সময়ে ২২ জন বিধায়ককে অপহরণ করে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন করেছে শাসকদল। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের সময় দেশের মানুষ যখন সরকারের থেকে আর্থিক সাহায্য আশা করেছিল তখন মোদি সরকার নতুন পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন ও রাষ্ট্রপতি ভবনের সংস্কারের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলো। আমরা এই বিষয়গুলি জনবিরোধী রাজনীতি হিসাবে গণ্য করি। আমরা বিশ্বাস করি করোনা অতিমারী রুখতে প্রত্যেক নাগরিককে যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি সরকারকে তার দায়দায়িত্ব পালন করতে হবে। ঘরের মধ্যে বন্দী থাকার নিদান ও বিকেল ৫’টায় দল বেঁধে থালা বাজানোর আহ্বানের মধ্যে দিয়ে সরকারের কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। তাই সরকারের কাছে একজন দায়বদ্ধ নাগরিক হিসাবে নিম্নলিখিত দাবিপত্র পেশ করতে চাই:

 

দাবিপত্র

  • অবিলম্বে মহকুমাস্তর থেকে বিনামূল্যে সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলি থেকে করোনা আক্রান্ত কিনা তা নির্ণয়ের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অবিলম্বে সরকারকে প্রতিটি পরিবারের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড সাবান বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।
  • চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী ও জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক ১২,০০০ টাকা ও বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • বেসরকারি যে সমস্ত কারখানা বন্ধ সেই কারখানার শ্রমিকদের লকডাউনের সময় নির্ধারিত হারে মজুরি দিতে হবে।
  • কোন অবস্থাতেই কাউকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা চলবে না।
  • ইতিমধ্যেই বাজারে জিনিসপত্রের যোগান কমছে এবং ২০%-৩০% দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান সুনিশ্চিত করতে হবে।
  • করোনা আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ব্যবহার করতে হবে এবং সেখানে রোগীদের থেকে কোন পয়সা নেওয়া চলবে না।
  • কর্পোরেট ও ধনী ব্যক্তিদের উপর বিশেষ ‘করোনা ট্যাক্স’ বসিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য স্পেশাল ফান্ড তৈরি করতে হবে।
  • ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া যে সমস্ত ঋণের জন্য (গৃহনির্মাণ, মোটরগাড়ি, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা) আমাদের কিস্তি মেটাতে হয় তার সময়সীমা বর্ধিত করতে হবে এবং কেউ দিতে না পারলে তার জন্য কোন জরিমানা ধার্য করা যাবে না।
  • ব্লক স্তর থেকে করোনা সংক্রান্ত সমস্যাগুলিকে মনিটরিং করার জন্য পৃথক সেল গঠন করতে হবে।
  • চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যারা সামাজিক বয়কট করার কথা বলছেন বা বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছেন বা তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন, সেইসব মানুষদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

লেখক স্কুলশিক্ষক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী।

Share this
Recent Comments
4
Leave a Comment