“এই তো, আবার ফেল করাতে পারব”: ভদ্রলোকি শিক্ষার বাম-দক্ষিন


  • January 31, 2019
  • (0 Comments)
  • 2100 Views

SUCI(C) গত ৩০ জানুয়ারি মহামিছিল করল। সমগ্র স্কুলশিক্ষা ক্ষেত্রে পাস ফেল ফেরানোর জন্য তাদের পুরনো দাবিতে। ফেল করার চাপ না দিতে পারার ফলে সরকারি মূলত বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান এবং সে বাবদে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ও পরীক্ষার ফল দুয়েরই প্রবল অবনতি ঘটেছে ও ঘটছে বলে তারা মনে করে। এই ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাকাঠামোর ভিতরে ন্যূনতম শিক্ষাও যদি দিতে হয় তবে পাস-ফেল প্রথা ছাড়া কোনো পথ নেই। এবং ইংরাজি বন্ধের মতো ‘ফেল প্রথা’ উঠে যাওয়ার মধ্যে দিয়েও আসলে শিক্ষার বেসরকারিকরণ ও কর্পোরেটায়নই ত্বরান্বিত হয়েছে ও হচ্ছে–এমনটাই তাদের মত। বিলক্ষণ, প্রাইভেট স্কুলগুলোতে তো এখনো পাস-ফেল আছে। অতঃপর… সিদ্ধার্থ বসুর প্রতিবেদন।

 

পড়ুয়াদের সুশিক্ষিত করে তুলতে সবচেয়ে অব্যর্থ ওষুধ হলো তাদের হৃদে পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার সন্ত্রাস ইনকালকেট করা। ‘পরীক্ষেতে ফেল হয়ে যেতে পারি’ এমত মহাশংকা মৌনমন্তরে জপতে জপতে মেধাবী/ভালো ছেলেমেয়েরা ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড ইত্যাদি হয়, মধ্যমেধার অনেকেই প্রথম দশের মধ্যে বা আরো পরের দিককার প্রথম প্রথম সব প্লেসমেন্ট প্রাপ্ত হয় এবং শিক্ষার আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে পরের পরের কেলাসে উঠে পড়তে থাকে চট ঝট করে। আর যে কজন বেহায়া, অলপ্পেয়ে, হতভাগা, পাস মার্ক-এর চেয়ে কিছু-কিঞ্চিত কম নম্বর পেয়েও লজ্জার মস্তিস্ক চিবিয়ে ‘শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার’ (এ কি কথা শুনি আজি মন্থরার মুখে!) ঠাউরে এঁড়েমি করতে চায়, তারা ফের সেই একই ক্লাসে পড়ে থেকেও ক্রমেই আরো শিক্ষিত হয়ে উঠতে থাকে: সিক্সের পাঠ দুবছর, সেভেনের তিন ইত্যাদি এবম্বিধ প্রকারান্তরে। ফলত সকলেরই লাভ হলো। শিক্ষার চোখচমকানো আলোকচ্ছটায় চকমকিয়ে উঠলো সব শ্রেনীর শিক্ষার্থীসম্প্রদায়ের আপাদমস্তক।

 

এখন বেত্তান্ত হচ্ছে যে ছাত্রটি পেত্থম হয়েছে, ফেল করার ভয় না থাকলে—ধরে নেওয়া গেল—সে দশম হত। কিন্তু ‘প্রথম’ এমনই একটা গোলমেলে অবস্থান যে কাউকে না কাউকে জায়গা করতে হতই সেখেনে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ…ইত্যাদি। কোনরকম ‘ফেল না-করানো’র আশা বা শংকা দেখিয়েই কিন্তু এ কেচ্ছায় বাঁধ দেওয়া যেত না। যাদের বাড়িঘরদোরে পড়ালেখার চর্চা এবং অবকাশ দুই-ই স্বল্পাধিক বর্তমান তারাই দখলে নিত এইসব পজিশনগুলো, সে আমরা ঘোষণা করি আর না করি। কিন্তু যারা প্রথম বা বড়জোর দ্বিতীয় জেনারেশনের পড়ুয়া তাদের বেলায় পরিস্থিতি হয় কিছু স্বতন্ত্র। আগে, বছর দুই এক কেলাসে থাকার পর তারা পড়ার উত্সাহ তো হারাতই, উপরন্তু মাত্রাতিরিক্ত স্কুল-ফিজের ভার বইতে না পেরে অচিরেই স্কুল-ছুট হতে হত তাদের। শিক্ষার সন্ধানী আলো আর তাদের পিছু নিতে পারত না—‘চিরআঁধার, নিষ্প্রদীপ’।

 

তা সেই পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের ফেল না করিয়ে পরের কেলাসে— নিতান্ত অসম্মানেই— উত্তীর্ণ করে দেওয়া যায় যদি, তাতে করে ঠিক কী দাঁড়াবে? এক এক করে দেখা যাক। প্রথমত, একই ক্লাসে দু-তিন বছর পড়ার একঘেয়েমি, অবমাননা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঙ্গী-হারানো এবং প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিজেদের একটা ‘ফেলু’ সম্প্রদায়ভুক্ত অবমানবপ্রায় গণ্য করে নেওয়ার সংকটের যে একটা নিরসন হবে, ইটা নিশ্চিত। কিন্তু, এর পরের ধাপে যে প্রশ্নটা ওঠে সেটা হলো এই যে তাদের—অর্থাৎ এই পাশ করার অযোগ্য কিন্তু ক্লাসে উঠে যাওয়া শিক্ষার্থীবর্গের—কোনো সঠিক মূল্যায়ন হলো না, তারা কিছু না জেনে বা শিখেই ক্লাসে (আপাতত এইট পর্যন্ত) উঠে গেল।

 

এখন কথা হচ্ছে যে মূল্যায়ন তো হয়েছে। নইলে আর বলছি কী করে যে অমুক অমুক পড়ুয়া ক্লাসে ওঠার যোগ্য আর অন্যরা নয়? তাহলে আপত্তিটা কোথায় ঠিক? তথাকথিত নিম্ন ও উচ্চ মেধার পড়ুয়াদের একসঙ্গে পড়া নিয়ে? সে তো আগের ব্যেবস্থাতেও বহাল ছিল। যে কজন পোড়ো কোনমতে পাশ-মার্ক পেয়ে কেলাসে উঠত তাদের সাথে মেধা তালিকায় সামনের সারিতে-থাকা ছাত্রছাত্রীদের তফাৎ ছিল না কি আগে? তবে? আচ্ছা বেশ; ধরা যাক পাশ না করাতে পেরে তিনজন পড়ুয়াকে একাদিক্রমে তিন বছর ক্লাস সিক্সে রেখে দেওয়া হলো। কী ধরণের সুফল পাওয়া গিয়েছে অতীতে এমনতর বন্দোবস্ত থেকে? সে কি তিনবছর পরার মাধ্যমে ক্লাস সিক্সের পাঠক্রমে বেশ পোক্ত হয়ে উঠেছে? মোটেও নয়। বরং যুগপত উত্যক্ত ও বিমর্ষ হয়ে পড়া ছেড়ে কাজ ধরেছে, আরো অন্যান্য নানা অশিক্ষা ও কুশিক্ষার সম্ভাবনা সমেত। তার চেয়ে ক্লাসে তুলে দিলে সে হয়ত একটু উত্সাহিতবোধ করলেও করতে পারত। তার ভেঙে-পড়া পারিবারিক পরিস্থিতিও তার পড়াশুনো চালানোর পক্ষে এতটা অন্তরায় হয়ে ওঠার আগে অন্তত খানিক সময় পেত।

 

তবুও যে প্রশ্নটা অসমাধিত থেকেই যাচ্ছে সেটা হলো একেবারে গোড়ার কথা: এই ‘ফেল প্রথা’ তুলে দেওয়াতে শিক্ষাদান এবং অন্যপক্ষে শিক্ষালাভ—এই মূলগত প্রক্রিয়া কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বা আদৌ হচ্ছে কিনা? নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পরেই যে ক্লাসে উঠতে না পারার ভয়ে পড়ালেখা করবার স্মৃতি(বা ভীতি) আদপেই সুখের নয়। আর সেটা যে কতখানি বাস্তব তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় পরীক্ষার বা তার ফলাফল প্রকাশের আগে-পরে অগণন সফল ও ব্যর্থ আত্মহনন-প্রচেষ্টা, প্রবল মানসিক অবসাদের প্রাদুর্ভাব ইত্যাকার বহু ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্যে। সহজ কোথায়, পরীক্ষা পাশ-কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার কোনো মানবিক মুখ যে থাকতে পারে না এ বিষয়ে আমি পুরোপুরি নিঃসংশয়।

 

কিন্তু তবু, তবু, তবু এবং তবু…। শিক্ষা? জ্ঞানালোক? এ প্রসঙ্গে ধার্য বিবৃতিটি আসলে আজ প্রায় অযোত্নলালিত এক অপ্তবাক্যে পরিনত হয়েছে: শিক্ষা আসলে ইচ্ছুক, পরিশ্রমী ও সৎ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আদানপ্রদানের ফসল, পরীক্ষা পাশ বা ফেলের নয়। এখন, সেখানেও সমস্যা বিস্তর। সরকারী স্কুলশিক্ষায় শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের দৈন্য, শিক্ষার্থীদের বাড়ির পরিবেশের স্বাস্থ্যহীনতা, শিক্ষকদের গা-ছাড়া ভাব, বিভিন্ন মানের পড়ুয়াদের পড়ানোর উপযোগী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার শোচনীয় অভাব সবই বিদ্যমান। তাহলে? কীভাবে ঘটবে এই আদান-প্রদান? কী উপায়ে শিক্ষার বিস্তার হবে? তা যদ্দিন এইসব নিরুদ্দিষ্ট উপাদানগুলোকে শিক্ষাঙ্গনের ধুলোমাটির বাস্তবতায় একেবারে পেড়ে ফেলা না যাচ্ছে, তদ্দিন, তথাকথিত নিচু মেধার পড়ুয়াদেরকে আমরা বছর বছর একই ক্লাসে রাখতে থাকব, তাদের নেট প্র্যাকটিসের অধিকতর সুযোগ করে দেবার জন্যে। আর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব কবে সে তথাকথিত পড়াশুনোয় ভালো শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নির্মীত এই শিক্ষার চক্কর থেকে সম্পূর্ণ বাইরে ছিটকে পড়ে। এমনিতেও মূল ধারার চাকরি-বাকরির যা বাজার, ক্লাস এইট পর্যন্ত স্রেফ ‘ফেল না করা’র যোগ্যতা নিয়ে কেউ এমন কোনো জীবিকা জুটিয়ে নিতে পারবে বলে মনে হয় না, যাতে কিনা তারা আবার হয়ে উঠতে পারে ওই তথাকথিত পড়াশুনোয় ভালো ছেলেমেয়েদের প্রতিযোগী। বরং যত্ন নিয়ে যদি সত্যিই পড়ানোর চেষ্টা হয়, তো সে/তারা হয়ত খুব অল্প হলেও খানিক আত্তীকৃত করতে পারবে শিক্ষার এই অপার্থিব আলো কে, যা তার ভবিষ্যতজীবনের কোনো ছুটক প্রয়োজনে কখনো লেগে গেলেও যেতে পারে। বুনিয়াদী শিক্ষা নইলে আর বলেছে কেন? মানুষ বেছে-ছেঁটে বাদ-সাদ দিয়ে শিক্ষিতকরা হবে— এ প্রবণতা তো অদ্যন্তই অভিজাততন্ত্রী প্রতিক্রিয়াশীল এক সুবিধাবাদ। যারা ফেল করবে(যদি করানো হয়), তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য কোনো বিকল্প স্কুল-ব্যবস্থা তো আগে তৈরী করা দরকার তাহলে। নইলে কে আমি, টাকে ক্লাসে না তোলার? বিদ্যুত্কেন্দ্র কিম্বা বড় বাঁধ তৈরির উন্নয়নের জন্য অগনিত মানুষকে কোনো পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত ছাড়াই বাস্তুহারা করে দেওয়ার সাথে এর কোনো মৌলিক তফাৎ আছে কি? আমি তো মনে করি এইট নয়, ক্লাস টেন অবধি ফেল তুলে দেওয়া উচিত, দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার অধিকার বাধ্যতামূলক করে। তারপর কে কেমন লড়ে নেই সে দেখা যাবে। চাকরি-নির্ভর যে শিক্ষাব্যবস্থা, তাতে তো আর পাশ-ফেল চাইলেও সত্যি করে পুরোটা তুলে দেওয়া যাচ্ছে না। গেলে সেটাই করার পক্ষে দাঁড়াতুম আমি।

 

এর পরেও শোনা যাচ্ছে, ফেল করানোর চাপ প্রয়োগে অক্ষম শিক্ষকেরা–যাঁরা মূলত সরকারী স্কুলের–তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের আর কিছুই শিখিয়ে উঠতে পারছেন না, বা বলা ভালো শিখতে বাধ্য করতে পারছেন না। অর্থাৎ, ক্লাস সিক্সে দুবছর ফেল করা শিক্ষার্থীটি যতটা শিখত, সোজাসাপ্টা এইটে উঠে যাওয়ার ফলে তার শেখায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে শহরের বেশিরভাগ সরকারী স্কুলে পড়তে আসে নিম্ন বা নিম্ন মধ্য শ্রেণির প্রথম বা বড়জোর দ্বিতীয় জেনারেশন শিক্ষার্থীরা। ক্লাসে ফেল করলে এদের অনিবার্য পরিণতি হয় শৈশব পেরুনোর আগেই কাজে জুতে যাওয়া। আর সেসব কাজ প্রায় সবক্ষেত্রেই শিশুটির ভবিষ্যৎ স্বাবলম্বিতার কোনো ঠিকঠাক পথ নয়। তার চেয়ে, বুনিয়াদি শিক্ষাটা অন্তত সবার নাগালে রইল, অর্থাৎ ক্লাস এইট পর্যন্ত তারা নিয়মিত বা অনিয়মিত স্কুলে এল, ক্লাসরুম শৃঙ্খলায় কিছুটা হলেও অভ্যস্ত হল, আর চরম ব্যর্থতার মধ্যেও হয়তো শুধু বাংলা ভাষাটাই বানান করে পড়তে শিখল, শিখল সাধারণ যোগ বিয়োগটুকুই–এ শিক্ষার্থী যখন কাজের বাজারে লড়বে, আমাদের মধ্যবিত্ত চোখ দিয়ে তার মূল্যায়ন দূরের কথা, সে কাজের অস্তিত্বকেই আমরা খেয়াল করতে পারব না অনেকসময়েই। কিন্তু এই সামান্যতম স্কুলপাঠের দুচারটে বছর তাদের যে সহায়তাই করবে, সে বিষয়ে আমার কোনো সংশয় নেই।

 

দ্বিতীয়ত কথা উঠছে যে ফেল করাতে না পারলে শিক্ষকদেরও যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। কার কতজন শিক্ষার্থীকে পাশ করানোর (এবং বাকিদের ফেল করানোর) মুরোদ, তা স্পষ্ট হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে আবারো পুরনো কথাই বলতে হয় যে ফেল করানো যাচ্ছে না মানে কিন্তু মূল্যায়ন বন্ধ হচ্ছে এমনটা নয়। ফলে কার কাছে কতজন শিখছে–বা এমনকি কতজন বেশি নম্বর পাচ্ছে– সেসব বুঝে নিতে সমস্যা হবার কথা নয়। এরপর আছে রেমেডিয়াল ক্লাস করানোর ব্যর্থতা। স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এবং পরিকাঠামোর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সেগুলো করানোর কথা ভাবা যেতেই পারে–ভাবা উচিতও–কিন্তু মনে রাখতে হবে যে এ প্রথা ফেল প্রথার বিপক্ষের বন্দোবস্ত বলেই রেমেডিয়াল ক্লাস করানো যাচ্ছে না বলে ফেল করানোর অধিকার ফিরে চাইলে তাতে কারোরই কোনো সুবিধে হবে না।

 

অর্থাৎ, ফেল প্রথা ফিরিয়ে না আনার জন্য যা যা সুব্যবস্থা করা সম্ভব, তার সবগুলোর দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। কিন্তু এর মানে এ নয় যে সেরকম বন্দোবস্তের কিছু এখুনি লাগু করা যাচ্ছে না বলে ফেল করানোকেই ফের বলবৎ করতে হবে। দাবিগুলো তুলতে হবে ফেল তুলে দেবার লক্ষ্যে নজর বেঁধেই।

 

আর সবশেষে, একজন শিক্ষকের পক্ষে কিন্তু ফেল করিয়ে ডিটেইন করিয়ে দেওয়াটা অনেক সহজতর বিকল্প। তাতে আর অকৃতকার্যদের দায়িত্ব নিতে হয় না। বরং, সবাই ক্লাসে উঠলে ক্লাসে তাদের অনিবার্য উপস্থিতি শিক্ষাদানের কাজটাকে কিছুটা হলেও বাধ্যতামূলক করে তোলে।

 

৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে ফেল প্রথা ফিরতে চলেছে। আন্দোলন শুরু হয়েছে প্রথম শ্রেণি থেকেই ফেরানোর দাবিতে। অতঃপর বুনিয়াদী শিক্ষায় জনগণের সমানাধিকারের প্রশ্নটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াল সে বিষয়ে একটু ভেবে দেখা উচিত এবারে।

 

লেখক একজন শিক্ষক এবং রাজনৈতিক কর্মী।

 

Share this
Leave a Comment